হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং (শরীফ উদ্দিন) সড়কের বিরাট ভাটীপাড়ার সুজনী খালের উপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক হতে নোয়াগড় যাত্রী ছাউনি পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং শরীফ উদ্দিন সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল, বাস, সিএনজি, ইজিবাইক ও মালবাহী বিভিন্ন ধরনের ট্রাক, পিকআপসহ শত শত গাড়ি চলাচল করে। বিগত তিন বছরে কয়েক বার সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ঘঠে দুর্ঘটনাও। কয়েক দফা নাম মাত্র মেরামত করা হলেও সম্প্রতি অতি বর্ষণে আবারও সড়কটির বিভিন্ন অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা সড়ক ও জনপদ (সওজ) কতৃপক্ষ বলছে, ফান্ড না থাকা এবং টেন্ডার না হওয়ায় পুরোদমে মেরামত করা যাচ্ছে না
সরজমিনে শরীফ উদ্দিন সড়কে দেখা যায়, বিরাট সুজনী খালের উপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক, ভাটিপাড়ার মির্জাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনের অংশে ব্রিজের সংযোগ সড়কসহ নোয়াগড় যাত্রী ছাউনি পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও রাস্তার পাশে এবং রাস্তাজুড়ে খড়ের গাদা, ইট, বালিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাধি রাখার ফলে পরিবহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এসময় গ্রামের স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে বেশ কয়েকজন জানান, প্রতি বছর বর্ষার (বৃষ্টি) মৌসুমে এই গর্তের সৃষ্টি হয়। করা হয় মেরামতও। তবে কোনো ধরণের মেরামত করা হয় আমরা বুঝি না। সঠিক মেরামত হলে প্রতি বছর ভাঙনের সৃষ্টি হবার কথা নয়।
জলসুখা গ্রামের সাইকুল মিয়া, রন্টি মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে আমরা সদরে যাতায়াত করি। কিন্তু আতঙ্কে থাকি কখন গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ফয়সল মিয়া বলেন, প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে জেলা শহরে আসা যাওয়া করি। সংযোগ সড়কটি ভাঙনের ফলে শঙ্কায় থাকি। বিশেষ করে রাতের বেলায় দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকি বেশি। গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাতে একটি সিএনজি গর্তে পড়ে ছয়জন আহত হয়েছেন।
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা যখনই খবর পাই, তখনই মেরামতের কাজ করছি। কোন ফান্ড নেই। এ ছাড়া নতুন করে টেন্ডারও হয়নি। যার কারণে পুরোপুরি মেরামত করতে পারছিনা। আপাতত যতটুকু সম্ভব মেরামত করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আমরা এ বিষয়ে পুরোপুরি কাজ শুরু করবো।
মন্তব্য করুন