ফরিদপুরের হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে এ মামলার রায় প্রদান করেন ফরিদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ, ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোন্দারদিয়া এলাকার শাহ মো. রাজন (২৮) হত্যায় জড়িত আসামিদের এই দণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন প্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে উপস্থিত ছিল। তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মধুখালী উপজেলার মো. আরমান হোসেন, মির্জা মাজহারুল ইসলাম মিলন, মো. মামুন সেখ, মো. আছাদ শেখ (পলাতক) ও মো. ইলিয়াছ মৃধা। এদের মধ্যে একজন আসামি মো. আছাদ শেখ পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
ওই রায়ের সঙ্গে আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহ মো. রাজন গত ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বিকেল বেলা মধুখালীর নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন। ওই দিন বিকেলে আসামিরা তার ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেলটি মধুমতি নদীতে ফেলে দেয়। এরপর কুড়ানিয়ার চর এলাকার জনৈক সিদ্দিক মাস্টারের বাগানে নিয়ে রাজনকে আসামি আছাদ মোল্যা ও মামুন শেখসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করে লাশ ওই বাগানের ভেতর থাকা পুকুরের পূর্ব পাড়ের চালায় মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখে।
এরপর আসামি আরমানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে থানা পুলিশ তার দেখানো মতে গত ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল সকাল পৌনে ১০টায় ওই স্থানে মাটি খুঁড়ে রাজনের লাশ উত্তোলন করে। এর পর দিন ৩ এপ্রিল তার মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, রাজন হত্যা মামলায় আমরা আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি।
মন্তব্য করুন