কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সপ্তাহে দু’একদিন অফিস করেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, আসেন রিজার্ভ সিএনজিতে!

ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস কক্ষ। ছবি : কালবেলা
ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস কক্ষ। ছবি : কালবেলা

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে সপ্তাহে এক দিন অথবা দুদিন ইচ্ছামতো অফিস করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি সপ্তাহে এক দিন বা দুদিন সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে এসে কিছুক্ষণ অফিস করে চলে যান টাঙ্গাইলের গোপালপুরে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ ফেরদৌস এর আগে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বদলি হয়ে জামালপুরের ইসলামপুরে আসেন।

ইসলামপুরে আসার ৬ মাস পার হতেই তাকে পুনরায় বদলির আদেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বদলির আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। এরপর থেকেই ইচ্ছামতো অফিস করতে থাকেন মোহাম্মদ ফেরদৌস।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, তিনি অনেক সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও প্রমোশন পাননি। তার কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার ওপর সন্তুষ্ট নয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আগস্টের শেষ সপ্তাহে তিনি এক দিন অফিস করেছেন। যদিও তার অফিস কক্ষ নিয়মিত যথাসময়ে খোলা হয় এবং বন্ধ করা হয়। আগস্টের শেষ সপ্তাহের বুধবার এক দিন ট্রেনিং ছিল বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর।

শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস নিয়মিত অফিস না করে সপ্তাহে এক দিন অথবা দুদিন অফিস করার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল গফুর মোবাইলে সব বলা যাবে না বলে অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি বলেন, তিনি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তিনি কখন কোথায় থাকেন সব জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করলে গত বৃহস্পতিবার জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান কালবেলাকে জানান, মোহাম্মদ ফেরদৌসের ছুটির বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।

বদলির আদেশের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি জামালপুরে যোগদানের পূর্বেই সেই মামলা হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদ ফেরদৌসকে অফিসে না পেয়ে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জেলা অফিসে আছেন তিনি। জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে তাকে ফোন করা হলে তিনি তখনো জেলা অফিসে আছেন বলে জানান।

জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা) হারুন অর রশীদের সামনে তাকে ফোন করা হয়। যখন বলা হয়, আপনি জেলা অফিসে আসেননি, তখন অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন এবং আগামীকাল অফিসে আসেন বলে ফোন কেটে দেন। এ সময় সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের মিথ্যা কথা বলার ঘটনায় বিব্রত হয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুম করার অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

খুলনায় নবায়নযোগ্য শক্তিবিষয়ক বিতর্ক উৎসব শুক্রবার

জানাজায় ১০০ জন মুসল্লি হলে কি মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া কবুল হয়?

স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’

সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

দুদকের মামলায় এস কে সুরের বিচার শুরু

কর্মীদের রেখে আমি কোথাও যাব না : যুবদল নেতা

র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুন পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন নেতাকর্মীরা

১০

উইকেটরক্ষক হওয়ার পেছনের গল্প জানালেন খালেদ মাসুদ পাইলট

১১

সাতক্ষীরায় গ্রিন ইনোভেশন ফেয়ার : তরুণদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগে টেকসই উন্নয়নের বার্তা

১২

দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ ফিরে পেলেন কচি

১৩

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মামলা

১৪

গভীর রাতে চায়ের আড্ডায় ধানের শীষের প্রচারণায় নজরুল ইসলাম আজাদ

১৫

ঢাকা ক্যাপিটালস দলে আসছে বড় পরিবর্তন!

১৬

৫ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিল জামায়াতসহ ৮ দল

১৭

হেফাজত আমিরের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীর সাক্ষাৎ

১৮

কুমিল্লায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ

১৯

ঢাবিতে চার দিনব্যাপী শীতকালীন বইমেলা শুরু

২০
X