ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই

কাঁচামরিচ। ছবি : কালবেলা
কাঁচামরিচ। ছবি : কালবেলা

জামালপুরের ইসলামপুরে এক দিনের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এক দিন আগে যে মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। এক দিন পরই তার দাম বেড়ে হয়েছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।

এ ছাড়াও দেশি জাতের মরিচ বিক্রি হতো ১৩০ টাকা কেজি। সেই মরিচ এক দিন পরই বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা। আর এক সপ্তাহ আগে এই মরিচের দাম ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যা সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা বর্ষণের ফলে ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেতের মরিচ গাছ মরে গেছে। এ ছাড়া যেসব ক্ষেতে মরিচ আছে সেগুলোও বৃষ্টির জন্য তুলতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কয়েক শত মরিচচাষি। বাজারে আমদানি কম হওয়ায় মরিচের দামও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।

উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের চর শিশুয়া গ্রামের আমিনুর ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমি এ বছর দুই বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মরিচের ফলন অনেক ভালো ছিল। দামও অনেক ভালো পেয়েছি। মৌসুমের মাঝামাঝিতে একবার বৃষ্টি হওয়ায় নিচু অঞ্চলের অনেক জমিতে পানি জমে মরিচগাছ মরে গেছে; কিন্তু আমাদের জমিটা উঁচু হওয়ায় বৃষ্টিতে তখন পানি জমেনি। ফলে গাছগুলো অনেক ভালো ছিল এবং ফলনও ছিল। কিন্তু কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় আমরা মরিচ তুলতে পারছি না। মরিচ না তুলতে পারার কারণে অনেক মরিচ পেকে যাচ্ছে এবং জমিতে তা ঝরে পড়ছে। এ ছাড়াও মরিচের নতুন ফুলও আর আসছে না। বৃষ্টিতে পানি জমে মরিচগাছও মরে যাচ্ছে।

ইসলামপুর ঠাকুরগঞ্জের নিত্য বাজারের কাঁচামাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তোতা মিয়া কালবেলাকে বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আমরা উলিয়া বাজার নৌকা ঘাট থেকে বিন্দু মরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কিনেছি এবং দেশি মরিচ ১৫০ টাকা করে কিনেছি। কিন্তু সেই মরিচ আজ ২১০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে। আর কারেন্ট মরিচ ২৭০ টাকা করে কিনতে হয়েছে। এর কারণ বর্তমানে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মরিচ সরবরাহ হচ্ছে না। যার ফলে মরিচের দাম তুলনামূলক অনেকটাই বেড়ে গেছে। মরিচের আমদানি বৃদ্ধি পেলে হয়তো আবারও মরিচের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ হয়েছে ৬ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের চেয়ে ২ হেক্টর বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএলএম রেজুয়ান কালবেলাকে বলেন, অনেক আগে থেকেই এ উপজেলা মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। আবাদও অনেক ভালো হয়। ফলে দিনে দিনে মরিচের আবাদও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে মরিচ চাষের জমিগুলো নিচু এলাকা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির কারণে সহজেই পানি উঠে যায়। এতে অনেক জমির মরিচগাছ নষ্টও হয়ে গেছে ৷ কিন্তু যেসব জমিতে পানি ওঠেনি বৈরী আবহাওয়ায় টানা বৃষ্টির কারণে কৃষকরা জমি থেকে মরিচ সংগ্রহ করতে পারছে না। এর ফলে বাজারে মরিচ সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে। যার কারণে বাজারে মরিচের দামও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মরিচের সরবরাহ বাড়লে হয়তো দাম আবার কমে আসবে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকের খোঁজখবর রাখছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চশমা পরে লালগালিচায় বিড়ালের ‘ক্যাটওয়াক’

যেভাবে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জয়সূচক গোলের দেখা পেল আর্জেন্টিনা

আবাসন সুবিধাসহ নিয়োগ দিচ্ছে আরএফএল গ্রুপ

১১ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

চীনা পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা ট্রাম্পের

ঢাকায় কখন হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি আজ

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনার জয়

গাজা শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে মিশরে যাচ্ছেন ট্রাম্প

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও লেকর্নুকে নিয়োগ দিলেন মাখোঁ

১০

চীন বিশ্বকে জিম্মি করে রেখেছে : ট্রাম্প

১১

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১২

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৩

যুক্তরাজ্যে তিন মাসে ২২টি মসজিদে হামলা, কারণ কী?

১৪

দেশে ফিরে যা বললেন শহিদুল আলম

১৫

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৬

১১ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৭

যারা মন্দিরে হামলা করত তারা দেশে নেই : এটিএম আজহার

১৮

চট্টগ্রামে ‘সমুদ্র পরিবেশ রক্ষা ব্যালাস্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রযুক্তিগত সেমিনার

১৯

‘দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না’

২০
X