পাবনার বেড়ায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে হাফিজুর নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। সংঘর্ষের পরদিন প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে দুটি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে অংশ নেয় প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাফিজকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাফিজুরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার বিকেলে উত্তেজিত লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অন্তত ২০টি ঘর পুড়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় লুটপাটও হয়েছে।
বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, মসজিদ নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর প্রতিশোধমূলক হামলায় ঘরে আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
পরিস্থিতি শান্ত করতে রোববার (২৭ জুলাই) সকালে উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোরশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ১০টা থেকে সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
এ সময়ের মধ্যে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি একসঙ্গে চলাচল, সভা-সমাবেশ, মিছিল, মাইক ব্যবহার এবং লাঠি, রড, দেশীয় অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। কেউ আদেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন