ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া জাতীয় নির্বাচন নয়। সোমবার (২৮ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে জাতি এক নতুন ধাপ অতিক্রম করেছে। একদল চোর-ফ্যাসিস্ট বিদায় নিয়েছে। নতুনরূপে চাঁদাবাজ ও স্বৈরাচারীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। মানুষ এখন জানে কারা লুটেরা, কারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে। পিআর পদ্ধতি ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে না।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামি শাসন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় রাজপথে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ইসলামি মূল্যবোধ, শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। জুলাই আন্দোলনের যথাযথ বিচার, রাজনীতি সংস্কার ও নারীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ আর কোনোভাবে দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক, ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সব ইসলামি দলগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আলোকিত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছি। এবার জাতীয় নির্বাচনে ইসলামি দলগুলোর একটি বাক্স থাকবে ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সজিব। এ ছাড়া সমাবেশে অংশ নেন জামায়াতে ইসলামীর চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, সহ-সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা আব্দুস সামাদ।
গণসমাবেশ শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলার ১ ও ২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মুফতি জহুরুল ইসলাম আজিজী ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সজিব হাত পাখা প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী।
মন্তব্য করুন