কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় অর্ধেকের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। এসব বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করনে সহকারী শিক্ষকরা। এ ছাড়া উপজেলার বেশ কিছুসংখ্যক সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নেই প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের সংকটের পাশাপাশি ২১টি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবকরা জানান, শিক্ষার প্রথম ধাপ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখান থেকেই একটি শিশু তার শিক্ষাজীবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। কিন্তু শিক্ষার ভিত্তিপ্রস্তর এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যদি পাঠদানে ঘাটতি থাকে তবে শিশুদের ভবিষ্যৎ কতটা দৃঢ় হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শূন্যপদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে সংকট নিরসনের দাবি জানান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন শুরুর সময় একজন শিক্ষকের উপরই পুরোপুরি নির্ভরশীল। প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের প্রশাসনিক কাজে বাড়তি সময় দিতে হচ্ছে। এতে স্বাভাবিকভাবে শিশুদের মধ্যে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা এক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রশাসনিক কাজ ও শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠদান একই সঙ্গে অসম্ভব। দায়িত্ব হিসেবে এখানে দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই একদিকে গেলে অন্যদিক ব্যাহত হচ্ছে। তবে শূন্য পদগুলো পূরণ হয়ে গেলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন বলেন, এ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৫৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়াও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২১টি। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সংকট নিরসনের লক্ষ্যে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করছি, এ সংকট অল্প সময়ের মধ্যে নিরসন হবে।
মন্তব্য করুন