নড়াইলের লোহাগড়ায় শোয়েবুর খান হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সবুজ শেখ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে লোহাগড়া থানার হলরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার সবুজ শেখ লোহাগড়া উপজেলার কালনা গ্রামের মৃত আহাদ শেখের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে লোহাগড়া পৌরসভার মাইটকুমড়া এলাকার ইউনুস খানের ছেলে শোয়েবুর খান বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যাননি। পরদিন শুক্রবার দুপুরে মাইটকুমড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার বিকেলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সবুজ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ স্বীকার করে যে, এক নারীকে তিনি বিবস্ত্র অবস্থায় দেখছিলেন, এমন সময় শোয়েবুর সেটি দেখে ফেলে এবং তা সবাইকে বলে দেবে বলে জানায়। তখন দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং একপর্যায়ে সবুজ শোয়েবুরের গলা চেপে তাকে হত্যা করে।
আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শোয়েবুরের মরদেহ লুকিয়ে রাখার জন্য তার সঙ্গে থাকা গামছা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে পাশের পুকুরে টেনে নিয়ে যায় এবং পুকুরের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে তার কাছে থাকা মোবাইলটি নিয়ে চলে যায়। আসামি সবুজ শেখ হত্যার কাজে ব্যবহৃত গামছাটি কালনা মধুমতী নদীর ঘাটে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পানিতে ফেলে দেয় এবং তার কাছে থাকা মোবাইলের সিমটি ভেঙে তার বাড়ির পাশে ফেলে দেয়।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় সবুজ শেখকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী রিক্তা বেগম। এ ছাড়া শোয়েবুরের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন