মসজিদের ইমামের অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করার ৬ দিন পর মৃত পুত্র সন্তান প্রসব করেছে আহত গৃহবধূ হালিমা। সাতক্ষীরার আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের বল্লপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় হালিমার স্বামী মসজিদের ইমাম হাফেজ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে আশাশুনি থানায় লিখিত এজাহার করেছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রাধাবল্লভপুর গ্রামে বসবাস করে আসছি। প্রতিবেশী আইয়ুব আলী খানের ছেলে মিলন, এলাহী বক্সের ছেলে রিপন, রোকন ও লিটন আমাদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তিনি বলেন, শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে মিলনের নেতৃত্বে লিটন, রিপন ও রোকনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন আমার বাড়িতে ঢুকে আমাকে ও আমার স্ত্রী হালিমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাদের মৌখিকভাবে নিষেধ করে। একপর্যায়ে তারা আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আমার মেয়ে নাইমা ঠেকাতে গেলে ওরা তাকেও মারধর করে। খবর পেয়ে আমি গুরুতর আহত স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা করাই। একপর্যায়ে ১৪ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে আমার স্ত্রী একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে।
তিনি আরও বলেন, আমি থানা পুলিশে সংবাদ দিলে ১৪ আগস্ট পুলিশ আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করে ও মৃত সন্তানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্তরা। ফলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আরেফিন বলেন, লিখিত এজাহার পেয়েছি। তদন্তপূর্বক মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন