বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি সাবমার্সিবল প্রকল্পের কাজ

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

বগুড়ার ১২টি উপজেলায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল, সেটির মেয়াদ শেষ হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। ফলে প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রায় ১২ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে জেলার ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার বঞ্চিত হবে সাবমার্সিবল পাম্প সুবিধা থেকে।

বগুড়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নেমে যাচ্ছে। পাশাপাশি পানিতে অতিরিক্ত আর্সেনিক ও আয়রন থাকায় জেলার বহু নিম্ন আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে জেলার ১২টি উপজেলায় ১ হাজার ২৭৬টি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর উদ্যোগ নেয়। ১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে নেওয়া এ প্রকল্পে বগুড়া সদর, গাবতলী ও ধুনট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছিল। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শুরুই হয়নি প্রকল্পের কাজ।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। পরে নির্বাচিত ঠিকাদারদের কার্যাদেশও দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদাররা সময়মতো কাজ শুরু করেননি। আর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বগুড়া অফিস থেকেও এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। একটি সূত্রের দাবি, ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অর্থ লোপাটের উদ্দেশ্যে নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রকল্পের কাজ না হওয়ায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চিহ্নিত সুবিধাভোগীরা। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতিটি ইউনিয়নে ১২টি করে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর কথা ছিল; কিন্তু বাস্তবে কোনোটিই বসানো যায়নি। যদিও সুবিধাভোগীদের চূড়ান্ত যাচাইবাছাই সম্পন্ন হয়েছে।

সোনাতলা উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জাহানারা খাতুন কালবেলাকে জানান, তার উপজেলায় সাত ইউনিয়নে ১২টি করে মোট ৮৪টি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর পরিকল্পনা ছিল। তালিকা চূড়ান্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। তবে কাজ কবে শুরু হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, এসব কাজ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা তদারকি করছেন।

অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বগুড়া অফিস থেকে দাবি করা হয়েছে যে, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া কালবেলাকে জানান, মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ঠিকাদারদের গড়িমসির কারণেই কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। কার্যাদেশ দেওয়ার পরও তারা কাজ করেননি। এ অবস্থায় কী ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি তা স্পষ্টভাবে জানাতে পারেননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাড়ি রাখা, অগোছালো পোশাক আর মেনে নেওয়া হবে না : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

গাজামুখী নৌবহর থেকে সরে দাঁড়াল ইতালি

অবশেষে নেপালের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়

বিশ্বকাপে ভারতের শুভসূচনা

বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলে দুঃসংবাদ

এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

পূজায় কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

হাসপাতালের বিছানায় সাবেক মন্ত্রীর বিতর্কিত ছবি নিয়ে যা বলছে কারা কর্তৃপক্ষ

বিএনপির পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নর্থ আমেরিকা পররাষ্ট্র কমিটির বৈঠক

১০

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সকলে মিলে দেশ গড়বো : ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ

১১

বকেয়া বিল আদায়ের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

১২

ঐক্যবদ্ধভাবে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : সেলিমুজ্জামান 

১৩

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’

১৪

চবির ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম অভিযোগ গেল দুদকে

১৫

একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

১৬

চারদিন পর খাগড়াছড়িতে অবরোধ স্থগিত

১৭

চলতি অর্থবছর কেমন হবে, জানাল এডিবি

১৮

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবাই মিলে দেশ গড়ব : ড. ফরিদুজ্জামান

১৯

সিপিআর বাঁচাতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লাখো প্রাণ

২০
X