টাঙ্গাইলের সখীপুরে অপহরণের দুই দিন পর তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সামিয়ার (৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বনের ভেতর থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সামিয়া নিখোঁজের পর মায়ের মোবাইল ফোনে অডিও বার্তা পাঠায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সামিয়া উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার মেয়ে। সে দাড়িয়াপুর মাঝিরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
অপহরণের পর ওই ছাত্রীর বাবা রঞ্জু মিয়া বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সখীপুর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ও সামিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সামিয়া বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়া শেষ হলে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে বের হয়। পথে একটি দোকানে সহপাঠীরা কেনাকাটা করতে দাঁড়ালে সে একাই হাঁটা শুরু করে। এরপর নিখোঁজ হয় সামিয়া।
এদিকে বাড়ি না ফেরায় মা রুপা বেগম শিক্ষককে কল করে জানতে পারেন, তার মেয়ে অনেক আগেই চলে গেছে। তিনি যখন আশপাশে খুঁজছিলেন তখন তার মোবাইল ফোনে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি অডিও বার্তা আসে।
অডিও বার্তায় বলা হয়, ‘আসসালামু আলাইকুম, আপনার মেয়ে ভালো আছে। টাঙ্গাইল আছে। আজকের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দিলে মেয়ে পাবেন। বিষয়টি পুলিশ ও এলাকার কাউকে জানাবেন না। জানালে আপনার মেয়ের ক্ষতি হবে।’
সখীপুর থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধারে পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে কাজ করেছে। বাড়ির পাশের একটি বনের ভেতর মাটিচাপা দেওয়া মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মন্তব্য করুন