মাগুরায় গত বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংঘটিত স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের তিন শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর থানায় মামলাটি করেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বারিউল ইসলাম রিয়াদ।
মামলায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতি সৃষ্টি ও হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী যুবক ও ছাত্রলীগনেতা কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতার করা ওই মামলায় আসামি হিসেবে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি আছেন ১৫০ থেকে ২০০ জন। তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তারা বেশিরভাগই বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে সদর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আশরাফুজ্জামান শামীম বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু অস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হওয়া ছাত্রলীগ নেতার ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আকতার হোসেন বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের নামে ছাত্রলীগের এক নেতা মামলা দিয়েছেন। অথচ পুলিশের সামনে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল, গুলি ছুড়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রসহ সেই ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ আমাদের নামেই মামলা দিচ্ছে, আবার পুলিশ সেই মিথ্যা মামলা নিচ্ছেও। এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ওসি শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বুধবারের সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা বারিউর রহমান রিয়াদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পাশাপাশি ভাইরাল হওয়া ছবিটির ওই যুবকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আশা করছি দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে বুধবার সকালে মাগুরা ইসলামপুর পাড়া এলাকায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। ওই সমাবেশেযোগ দিতে দলের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করে সেখানে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় পৌঁছালে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মন্তব্য করুন