রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ইমরানকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে শরীয়তপুরের পালং থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইমরান গোদাগাড়ী উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক জানান, গত ৬ মাস আগে ভুক্তভোগী তরুণী স্বামীর কাছে তালাকপ্রাপ্ত হয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করছিলেন। তার মায়ের বাড়ি অভিযুক্তের বাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় বিভিন্ন সময় তাদের বাড়িতে যাওয়া-আসার মাধ্যমে কথা-বার্তা হতো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথাবার্তা হতো।
পরে গত ২ আগস্ট রাতে অভিযুক্ত যুবক উপজেলার হরিশংরপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় ওই তরুণীর রুমে প্রবেশ করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। সবশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিএসসি ও র্যাব-৮, সিপিসি-২ এর একটি যৌথ দল অভিযান চালিয়ে শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন মধ্য পালং নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন