সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে সহজে ও কম খরচে বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে গ্রাম আদালত ব্যবহারে আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং প্রচার-প্রচারণা জোরদার করতে হবে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে মো. সারওয়ার আলম বলেন, আপনারা সৎ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। জেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে আছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে জন্মনিবন্ধন সেবায় সিলেটকে দেশের শীর্ষ পাঁচ জেলার মধ্যে আনতে চাই। নিজ নিজ এলাকায় অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে জনপ্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। এতে করে মানুষের জীবনে প্রশান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিলেটের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ইউএনডিপির প্রকল্প মূল্যায়নকারী শাহাদাত হোসেন।
এছাড়া, সিলেটে গত এক বছরে গ্রাম আদালতগুলোতে মোট ১ হাজার ২৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ও জরিমানা বাবদ আদায় ও হস্তান্তর করা হয়েছে ২০ লাখ ৮১ হাজার টাকা। একই সময়ে জেলার ১ হাজার ৪৩৮ নাগরিক গ্রাম আদালতে মামলা করেছেন, যার মধ্যে ৩১১ নারী এবং ৯৩৪ পুরুষ।
সভার শুরুতে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের পরিচিতি, প্রচার কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ইপসা সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার শওকত হাসান।
সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, ১০৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানরা অংশ নেন। এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে বলে মত দেন উপস্থিত অতিথিরা।
মন্তব্য করুন