পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশালাকৃতির দুটি কোরাল মাছ। মাছ দুটির ওজন ৪৪ কেজি। যার একটির ওজন ২৭ কেজি, অন্যটির ওজন ১৭ কেজি। বাজারে মাছ দুটি নিয়ে এলে হৈচৈ পড়ে যায়।
শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুয়াকাটা মাছ বাজারের ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি হিসেবে নিলামে ওঠে। বিশালাকৃতির এই মাছ সাধারণত পর্যটকরা বেশি কিনে থাকেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
পরে বিশাল আকৃতির এ মাছ দুটি ৬৬ হাজার টাকায় সুন্দরবন এলাকা থেকে ক্রয় করেন গাজী ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. বশির গাজী। মাছ দুটি আরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠানোর কথা জানান ওই ব্যবসায়ী।
গাজী ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. বশির গাজী কালবেলাকে জানান, মূলত এই বড় মাছের চাহিদা কুয়াকাটায় বেশি। তাই আমরা উপকূলীয় এলাকার জেলে এবং বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মাছগুলো সংগ্রহ করি। আজকে সুন্দরবন থেকে এই মাছ দুটি আমি সংগ্রহ করেছি। চাহিদা থাকায় এগুলো ভালো বিক্রি করা যায়।
কুয়াকাটার (উপরা) উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মিরাজ বলেন, মূলত এই মৌসুম হলো বড় মাছের। তাই ইলিশ, কোরালসহ সামুদ্রিক মাছের একটি সরবরাহ রয়েছে। অনেক সময় রোগাক্রান্ত হওয়া, পেটে ব্যথা হওয়া, মাইক্রো প্লাস্টিকের প্রভাব, পলিথিন বা প্লাস্টিক খেলে অনেক সময় ভেসে থাকে। তবে এমন মাছ এখন তুলনামূলক কম আসে, আরও ৫ থেকে ৭ বছর আগে পরিমাণে বেশি পাওয়া যেত।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা কালবেলাকে বলেন, এটি নিষেধাজ্ঞার ফসল, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকার করতে নেমেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই জেলেদের জালে বড় মাছ ধরা পড়বে। জেলেরা সঠিকভাবে নিষেধাজ্ঞা পালন করেছে বিধায় সামনের দিনগুলোতে তাদের জালে ভালো সংখ্যক মাছ ধরা পড়বে। শুধু কোরাল নয়, ইলিশসহ সামুদ্রিক অন্যান্য সব ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়বে বলে আমি আশাবাদী।
মন্তব্য করুন