আরিফ সরদার, ঝালকাঠি
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জসিম এখন চা দোকানি

নিজের চায়ের দোকানে কণ্ঠশিল্পী জসিম শাহ ও ডানে তাকে নিয়ে পোস্টার । ছবি : কালবেলা
নিজের চায়ের দোকানে কণ্ঠশিল্পী জসিম শাহ ও ডানে তাকে নিয়ে পোস্টার । ছবি : কালবেলা

‘চুমকি বড় স্বার্থপর’ গানের অ্যালবাম করেই প্রশংসিত হয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী জসিম শাহ। তার করা অ্যালবাম দেশ-বিদেশের দর্শকের কাছে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। এরপর ‘দুঃখে গড়া জীবন’, ‘তোমার জন্য কাঁদি আমি’সহ একেরপর এক অ্যালবাম বের হয়েছিল। আর সেগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বেশ।

বর্তমানে তিনি কাজের অভাবে নিজ জেলা ঝালকাঠির নলছিটিতে একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন। আর এই ছোট্ট চায়ের দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে তার সংসার।

কথা হয় কণ্ঠশিল্পী জসিম সরদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালে গুরু গিয়াস উদ্দিন লিটু ভাইর মাধ্যমে। প্রথমে নিজ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে গান করতাম। তারপর ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন স্টাইলে গান করি। এরপর সুরকার নাজির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে সোনালী প্রোডাকসের কর্ণধার ইকবাল ভাইয়ের কাছে যাই।

তিনি বলেন, প্রথম অ্যালবাম বের হয় ‘চুমকি বড় স্বার্থপর’। এটাতে ব্যাপক সাড়া পাই। এরপর একের পর এক অ্যালবাম বের হয়। দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল। সংগীতের অবস্থান ধরে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে আর ধরে রাখতে পারিনি। তাই নিজ এলাকায় একটি চায়ের দোকান দিয়েছি।

আধুনিক, ফোক, ব্যান্ডসহ সব গানের জন্য এখন কেউ যদি তাকে দিয়ে কাজ করাতে চায় তাহলে তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

নলছিটি পৌরশহরের স্থানীয়রা জানান, কণ্ঠশিল্পী জসিমের অনেক প্রতিভা রয়েছে। তার কণ্ঠস্বর অনেক ভালো। তাকে আবার কেউ সুযোগ দিলে সে ভালো কিছু করতে পারবে।

জসিমের ওস্তাদ গিয়াস উদ্দিন লিটু বলেন, জসিমের বাবাও একজন পুরোনো দিনের শিল্পী ছিলেন। জসিমের প্রতিভা অনেক ভালো। ও ভালো কিছু করতে পারত। কিন্তু কালের বিবর্তনের ফলে শিল্পীরা হারিয়ে যাচ্ছে। ভালো শিল্পীদের এখন আর মূল্যয়ন করা হয় না। বর্তমানে গান ছেড়ে একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন, কিন্তু কেউ যদি তাকে সুযোগ দেয় তাহলে ভালো কিছু করতে পারত। ওর গানের সুর এখনো অনেক সুন্দর। আমরা চাই সে আগের জায়গায় ফিরুক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

র‌্যাব পরিচয়ে ইসলামী ব্যাংকের টাকা লুট

পুলিশ একাডেমি থেকে পালিয়েছেন ডিআইজি এহসানুল্লাহ

বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে

দেশে এক দিন পর কমলো স্বর্ণের দাম

বাবা হারালেন মোহাম্মদ এ আরাফাত

জুলাই সনদ : ফের ঐকমত্য কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি

শুরু হচ্ছে নতুন কুঁড়ির ফাইনাল রাউন্ড

পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প

ঐক্যবদ্ধ থাকুন, কেউ উচ্চ আকাঙ্ক্ষা করবেন না : দুদু

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন আপিল কমিটি গঠন

১০

নিখোঁজের ৭ দিন পর আদিবার হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার 

১১

‘খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তন না আনলে ক্যানসার ঠেকানো কঠিন’

১২

মালদ্বীপে জুমার খুতবা বাংলায় অনুবাদের উদ্যোগ

১৩

শ্রেষ্ঠত্বের অগ্রযাত্রা, ডিবিএল সিরামিকসের সেরা ডিলারদের অনুপ্রেরণার গল্প

১৪

পাকিস্তান-আফগানিস্তান দ্বন্দ্বে যার পাশে থাকছে ভারত

১৫

আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবে জাগপা ও আপ বাংলাদেশ

১৬

গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন জুলাই যোদ্ধার

১৭

ঐকমত্যে ব‍্যর্থ হলে ভয়ানক পরিস্থিতির ঝুঁকি দেখছে এবি পার্টি

১৮

মাত্র ১৫ বছর বয়সেই নিজের প্রথম ল্যাম্বরগিনি পেলেন রোনালদোর ছেলে

১৯

জকসুর নির্বাচনী আচরণবিধি তৈরিতে কাজ করছে ইসি

২০
X