রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার মাজারে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালালে রাসেল মোল্লা (২৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩৫০০ থেকে ৪০০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা গ্রামের আজাদ মোল্লার ছেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার নুরাল পাগলার দরবারে প্রবেশ করেন তার ভক্ত রাসেল। শুক্রবার দরবারে হামলা-ভাঙচুরের সময় রাসেলের ওপর হামলা করা হয়। তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ওপর হামলা করা হয়। সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাসেলের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে নুরাল পাগলের ভক্ত নিহত রাসেল মোল্লার বাবা আমজাদ মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩৫০০-৪০০০ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ থানায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি ও জখমের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে রাসেল হত্যার ঘটনায় রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে লতিফ ইমাম ও আসলাম শেখ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলার দরবারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় নুরাল পাগলার ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং দুপক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ থেকে ১২ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
মন্তব্য করুন