বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরে দিনমজুর রিয়াজুল ইসলাম ফরাজি হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) মুন্সীগঞ্জ সদর আমলি আদালতে তাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (উপ-পরিদর্শক) শিপন আহমেদ।
শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মানিক দাস সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কামরুল হাসান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের গত ২২ জুন রাত ১০টার দিকে ঢাকার মনিপুরীপাড়ার একটি আবাসিক ভবন থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সজল হত্যা মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ওই মামলায় দুই দফায় ১২ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংক-সুপারমার্কেট এলাকায় পূর্ব ঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ সমর্থকরা। এ সময় প্রতিরোধ করতে চাইলে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে দিনমজুর রিয়াজুলসহ তিনজন নিহত হন। আহত হয় দেড় শতাধিক। ওই ঘটনায় দায়ের করা প্রতিটি মামলায় আসামি করা হয় তৎকালীন এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবকে।
২০২৪ সালের বিলুপ্ত ও বিতর্কিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফয়সাল বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে। মহিউদ্দিনও তিনটি হত্যাসহ কয়েকটি মামলার আসামি। ৫ আগস্টের পর থেকেই জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মহিউদ্দিন দেশের ভেতরেই পলাতক রয়েছেন।
মন্তব্য করুন