বিদ্যুতের আটটি খুঁটি অপসারণ না করায় আটকে আছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ কোটি টাকার ইউটার্ন প্রকল্পের কাজ। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের এসব খুঁটি অপসারণ না করায় প্রকল্প কাজ স্থবির হয়ে আছে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাশমত অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী হাশমত আলী হাসু।
জানা গেছে, ডিপিডিসি ও নারায়ণগঞ্জ সওজ বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো অপসারণ করা হচ্ছে না। এতে আগাচ্ছে না প্রকল্প কাজ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ, শনির আখড়া এলাকায় নির্মাণাধীন ইউটার্ন প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা সাদেকুর রহমান রিয়াজ বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে মাতুয়াইল পর্যন্ত চার কিলোমিটার অংশে মহাসড়কের ওপর দিয়ে সরাসরি পারাপারের কোনো ব্যবস্থা নেই।
ফলে দনিয়া, কাজলা, রায়েরবাগ, কুতুবখালী, রসুলপুর, ছনটেক, দাসপাড়া, নয়াপাড়া শনির আখড়া ও গোবিন্দপুর এলাকাবাসী যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে হচ্ছে, ওইসব এলাকার লাখ লাখ মানুষ সড়ক পারাপারে যানবাহন ব্যবহার করতে পারছেন না। ইউটার্ন নির্মাণ হলে যাতায়াত সহজ হবে।
ইউটার্ন নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাশমত অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী হাশমত আলী হাসু বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু মহাসড়কের উত্তর পাশে রানা ও ইউনাইটেড সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় আটটি বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। খুঁটিগুলোর জন্য কাজ আটকে আছে।
তিনি বলেন, কাজ শেষ করার জন্য ৬ মাস সময় ছিল। গত ১২ আগস্ট কাজের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়েছে। খুঁটি অপসারণ না করায় ২ মাস সময় বাড়ানো হয়েছে। তবু খুঁটি সরানোর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। খুঁটিগুলো না সরানো পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ডিপিডিসির কাজলা জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল থেকে খুঁটি সরানোর জন্য চিঠি দিয়েছে। ইউটার্ন এলাকার খুঁটি সরানোর চিঠি দেননি। তবে ইউটার্ন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে খুঁটিগুলো সরানোর জন্য ডিপিডিসির প্রকল্প বিভাগকে জানানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মাদ আহসান উল্লাহ মজুমদার বলেন, খুঁটিগুলো সরানোর জন্য আমরা মার্চ, জুন ও জুলাই মাসে ডিপিডিসিকে ৩টি চিঠি দিয়েছি। তারা সাড়ে ১০ লাখ টাকা বাজেট চেয়েছেন। অনুমোদন না হওয়ায় আমরা টাকা দিতে পারিনি। দ্রুত বাজেট দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, সওজের জায়গাতে ডিপিডিসি বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর সময় নিষেধ করা হয়েছিল। তখন তারা বলেছিলেন সওজের প্রয়োজনে খুঁটি সরিয়ে নেবে। অথচ এখন আমাদের টাকা দিয়ে খুঁটি সরানোর কথা বলছে।
মন্তব্য করুন