

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশের পথে উড়াল দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনের ফ্লাইটটি ঢাকার পথে রওনা হয়েছে।
তারেক রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান রয়েছেন। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট (বিজি-১০২) ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রথমে ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানাবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এরপর বুলেটপ্রুফ মার্সিডিজ জিপে চড়ে যাবেন ৩০০ ফিটের কাছে সংবর্ধনার অনুষ্ঠানস্থলে। এখানে বিশেষ মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
এই ভাষণ যাতে সবাই দেখতে পারে সেজন্য ৩০টি এলইডি বড় পর্দার স্ক্রিন ও অনুষ্ঠানস্থলসহ চারপাশে ৯ শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তারেক রহমান যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে মাকে দেখতে। সেখান থেকে গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ বাসায় উঠবেন তিনি। এই বাসাতেই সপরিবারে থাকবেন তারেক রহমান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের সময়টি যাতে দেশবাসী ও প্রবাসীরা দেখতে পারেন সেজন্য বিএনপির মিডিয়া সেল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিএনপির ফেসবুক পেজ, বিএনপি মিডিয়া সেল এবং ‘আওয়ার বিএনপি’ এ তিনটি ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে।
এদিকে তারেক রহমানের জন্য সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিএনপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পূর্বাচলে ৩০০ ফিট সড়কে যে সংবর্ধনা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে তার চারপাশে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামছুল ইসলাম। গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দলের পক্ষে থেকে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে।
মন্তব্য করুন