সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন ১০ জন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজানগর ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সামিয়া বেগম (২০), হুসনা বেগম (৩৫), কাসেম মিয়া (৩৬), সফিক মিয়া (৩৭), নাজির মিয়া (৩৮), সাবু মিয়া (৪০), নাসির মিয়া (৪১), লাল মিয়া (৫৫), সেন্টু মিয়া (৪৫), কামাল মিয়া (৩৫), রাবিয়া বেগম (৩৫), আজিজুল মিয়া (৩৫), সালাতুল বেগম (২৬), আলী আকবর (৫০), মিজান মিয়া (২৯), করমুস মিয়া (২৯), শাহবাজ (৫৬), এরশাদ (৩৩), সরলা বেগম (৪৫), সাক্কল মিয়া (৪৫), রুজেল মিয়া (১২), আশিক মিয়া (৩২), ইসলাম মিয়া (৩৫), সাগর মিয়া (২২), তাহেরা বেগম (২০), জবনুর মিয়াসহ (২২) অন্তত ৩০ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহানপুর গ্রামের গোলাপ মিয়া ও ফিরুজ মিয়ার পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার থানা-পুলিশ ও গ্রাম্য সালিশে সমাধানের চেষ্টা হলেও মূল দ্বন্দ্ব থেকে যায়। সোমবার সকালে খেয়া নৌকা পারাপারকে কেন্দ্র করে ফিরুজ আলী ও আলী আকবরের সমর্থকদের সঙ্গে গোলাপ মিয়ার লোকজনের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক পিন্টু কুমার দাস বলেন, টেঁটাবিদ্ধ ১০ জনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক কালবেলাকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র টেঁটা ও ঢাল উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
মন্তব্য করুন