বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে একটি স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হলে আমাদের অবশ্যই এই কলঙ্কজনক অধ্যায় থেকে বেরিয়ে এসে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত জুলাই সনদ ঘোষণা, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের সম্মুখে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে কয়রার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে কোনো দিনই জনগণের সঠিক মতামতের প্রতিফলন সম্ভব নয়, তাই পিআর পদ্ধতি ছাড়া আসন্ন নির্বাচনকে জনগণ নিরপেক্ষ বলে মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশ ও জাতির জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। স্বাধীনতা অর্জনের পর বিগত ৫৪ বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত অধিকাংশ নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত। এই নির্বাচনগুলোতে ছিল ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম, গণহারে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও ভোট মারা, কেন্দ্র দখল, ডামি নির্বাচন, নিশি রাতের ভোট এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজন। সুতরাং দেশে একটি স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হলে আমাদের অবশ্যই এই কলঙ্কজনক অধ্যায় থেকে বেরিয়ে এসে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থা করতে হবে।
কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা গোলাম সরোয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।
এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা জেলা সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ, জেলা সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কয়রা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কয়রা উপজেলা সভাপতি মোল্যা শাহাবুদ্দীন শিহাব, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমির গাজী মিজানুর রহমান, মহারাজপুর ইউনিয়ন আমির মাষ্টার সাইফুল্লাহ হায়দার, বাগালী ইউনিয়ন আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল হামিদ, আমাদী ইউনিয়ন আমির মাওলানা শাজ্জাদুল ইসলাম, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন আমির আবু সাইদ, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আমির মাষ্টার নূর কামাল হোসেন, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন আমির মাওলানা মতিউর রহমান, সাংবাদিক এম আয়ুব আলী, যুব বিভাগের উপজেলা সভাপতি মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ, সেক্রেটারী মোনায়েম বিল্লাহ, কয়রা সদর ইউনিয়ন সভাপতি হাফেজ জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা জেলা দক্ষিণের সভাপতি আবু জার গিফারী, কয়রা থানা সভাপতি মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন