নিজ উদ্যোগ এবং নিজেরাই শ্রম দিয়ে ভেঙে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার করে প্রশংসায় ভাসছেন লালমনিরহাট যুবদলের নেতাকর্মীরা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ভাটিবাড়ী এলাকা থেকে কুলাঘাট ইউনিয়নের বুমকা এলাকায় যাওয়ার রাস্তাটি সংস্কার করেন তারা।
জানা গেছে, ভারী বর্ষণে ওই এলাকার রত্নাই নদীর ওপর নির্মিত সাবরিখানা নামক ব্রিজের ক্ষতিগ্রস্ত সংযোগ সড়ক বড় বড় গর্তে পরিণত হয়। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে সড়কটি। দুই ইউনিয়নের সংযোগস্থল সড়কটি দিয়ে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান ও সদস্য সচিব হাসান আলীসহ দলের নেতাকর্মীরা এলাকার ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে নিজ উদ্যোগ এবং নিজেরাই শ্রম দিয়ে ভেঙে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার করেন। তারা বাঁশের পাইলিং তৈরি করে ইটের খোয়া, বালুর বস্তা ও মাটি ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি সংস্কার করেন। সড়কটি সংস্কারে সাধারণ মানুষের চলাচলের ভোগান্তি লাঘব হওয়ায় এলাকার মানুষদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন স্থানীয় যুবদলের যুবকরা।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া গর্তে রিকশা, ভ্যান ও বাইক পড়ে ঘটেছে নানা দুর্ঘটনা। মচকে গেছে অনেকের হাত-পা। অনেক আহত পথচারী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নিয়েছেন চিকিৎসা।
ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন এনজিওকর্মী শিউলী বেগম। তিনি বলেন, বন্যার সময় ওই সড়ক দিয়ে বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার ফলে সড়কটির বেশিরভাগ অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাতায়াতে অযোগ্য হয়ে পড়ে সড়কটি। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। সড়কটি সংস্কার হওয়ায় যুবদলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
জেলা যুবদলের সভাপতি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় বন্যা পরবর্তী রাস্তা মেরামত ও পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা নিজেদের অর্থ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার কাজ করেছেন। তাদের এই জনহিতকর কাজ চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন