অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে পারে। এতে মাসের প্রথম দিন থেকেই বাড়তে পারে বৃষ্টি। এতে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৭ জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টি আরও কমবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির। তিনি বলেন, ‘আগামী দুই দিন বৃষ্টি কম থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে আবার বৃষ্টি বাড়তে পারে, যা অব্যাহত থাকতে পারে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর আবার তা কমতে পারে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণও হতে পারে। এ ছাড়া আগামী ১ অক্টোবরের দিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিশেষ বার্তায় জানিয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর সকাল থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার ও ত্রিপুরা প্রদেশে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময় উত্তর-পুর্বাঞ্চলের সোমেশ্বরী ও ভোগাই-কংস নদীর পানি বেড়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। আগামী ২-৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রবাহিত হতে পারে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীও। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
এ ছাড়া ১-৪ অক্টোবরের মধ্যে মুহুরী, সিলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি বেড়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এতে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন