বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার একটি মাদ্রাসায় একাধিক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসাটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ‘বকুলতলা আল-কারীম ক্বিরাআতুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ পরিদর্শনের পর এ সিদ্ধান্ত নেন ইউএনও ফারুক আহমেদ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন, বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন উল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ কালবেলাকে বলেন, মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার শিশুদের অভিভাবকদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। আপাতত মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মামলা হলে পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যদি মনে করেন, মাদ্রাসা পুনরায় চালু করা হবে। তারা যদি সংশোধন হয় চালু হবে। তা না হলে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এলাকাবাসী জানান, শিক্ষক আব্দুল রহমান মাদ্রাসার আবাসিক কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নিপীড়ন করে আসছিলেন বলে শোনা গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী মাদ্রাসায় জড়ো হয়। তখন শিক্ষক আব্দুর রহমান পালিয়ে যান।
স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক আব্দুর রহিম বলেন, মাদ্রাসাটিতে ৫০ জন ছাত্র রয়েছে। প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে কিছু ছাত্রকে মাদ্রাসায় রেখে দেন শিক্ষক। রাতে তাদের যৌন নির্যাতন করতেন আব্দুল রহমান। এ কারণে ছাত্ররা মাদ্রাসায় যেতে চাইতো না। এর মধ্যে এক ছাত্র বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়। বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি এসে মাদ্রাসা তালাবদ্ধ করে দেন। পাশাপাশি মাদ্রাসার সব শিক্ষককে ইউএনওর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
তবে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন