বাগেরহাটে সাংবাদিক ও বিএনপি নেতা হায়াত উদ্দিন হত্যা মামলার ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যার সঙ্গে জড়িত মর্মে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন। এরপর বাগেরহাটের আমলি আদালত-১ এর বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুণ অর রশীদ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, গত রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আশুলিয়া এলাকার গোল্ডেন সিটি আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার ১১৮ নম্বর কক্ষ থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এই আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। সোমবার রাতে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। নিরাপত্তাজনিত কারণে বিষয়টি পরে জানানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার গোপালকাঠি এলাকার মো. শহিদুল হাওলাদারের ছেলে মোহাম্মদ ওমর ফারুক ওরফে ইমন হাওলাদার (২৫) এবং একই এলাকার মো. আব্দুল হাই এর ছেলে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ওরফে আশিক (২৫)। গ্রেপ্তারকৃতরা এজাহার নামীয় আসামিদের মধ্যে নাম না থাকলেও হত্যার সঙ্গে জড়িত নিশ্চিত হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম হোসেন বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালি এলাকায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক এসএম হায়াত উদ্দিনকে (৪০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন একই এলাকার মো. ইসরাইল মোল্লা ও তার সহযোগিতারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হায়াত উদ্দিনের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় মো. ইসরাইল মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
মন্তব্য করুন