লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১৯ বছর ধরে একটি সেতুর অপেক্ষায় ২০ হাজার মানুষ

এ বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হন অন্তত সাত গ্রামের মানুষ। ছবি : কালবেলা
এ বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হন অন্তত সাত গ্রামের মানুষ। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ও বাকই উত্তর ইউনিয়নের অন্তত সাত গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। বর্ষা এলে এ সাঁকোই হয়ে ওঠে ডাকাতিয়া নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা।

জানা গেছে, আলীশ্বর ও ভাবকপাড়া নামক স্থানে নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় আলীশ্বর, নুরপুর, কসরাইশ, ভাবকপাড়া, শিকারিপাড়া, গছকড়া ও পাড়া ভাবকপাড়া গ্রামের মানুষ বাধ্য হয়ে নিজেরাই প্রতিবছর বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকোটি সংস্কার করে আসছেন।

স্থানীয়রা জানান, নদীর পূর্ব পাশে রয়েছে আলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলীশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বীনিয়া মাদ্রাসা ও আলীশ্বর বাজার। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। বিশেষ করে বয়স্ক, নারী ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই পথচলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় কৃষক মকবুল মিয়া বলেন, গত বছর মাঠ থেকে খড় নিয়ে ফেরার পথে বাঁশের ফাঁকে পা আটকে পড়ে যাই, পরে লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন জানান, বছরের পর বছর ধরে ব্রিজ হবে শুনছি, কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।

বাকই উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, এই গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই— একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের মাধ্যমে এই জনদুর্ভোগ দূর করা হোক।

লালমাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি ড. শাহজাহান মজুমদার বলেন, একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে শুধু মানুষের দুর্ভোগই কমবে না, এলাকার শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সার্বিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।

লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, জনসাধারণের যাতায়াত সহজ করতে সংশ্লিষ্ট স্থানে সেতু নির্মাণের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘সোলজার’র প্রথম ঝলকে কী বার্তা দিলেন শাকিব খান?

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / ক্যানসার আক্রান্ত সেই রাশিদার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল খুলনা মেডিকেল

টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ডিসি সারোয়ারের হুঁশিয়ারি

আবরার ফাহাদ স্মরণে ৮ স্তম্ভ নির্মাণ, ব্যয় কত

মুক্তি পেলেন ইসরায়েলে আটক পাকিস্তানের জামায়াত নেতা

মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টে হজযাত্রী নিবন্ধনের বিষয়ে যা জানা গেল

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন : এম এ মালিক

এক দিনের ব্যবধানে আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

বাংলাদেশ সফরের জন্য আইরিশদের দল ঘোষণা

এবার আরেক অপ্রতিরোধ্য সক্ষমতা অর্জনের পথে পাকিস্তান

১০

কুমিল্লায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, ২ যুবক গ্রেপ্তার

১১

মেঘনায় অভিযানিক দল ও জেলেদের সংঘর্ষ

১২

হংকংয়ের বিপক্ষে জয় নিয়ে আশাবাদী হামজা

১৩

যে ৬ সমস্যায় কখনোই এআইয়ের পরামর্শ নেওয়া যাবে না

১৪

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

১৫

চাঁদাবাজদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে : কফিল উদ্দিন

১৬

ডাকসুর জিএস ফরহাদ হোসেনকে রাঙামাটিতে সংবর্ধনা

১৭

পুলিশ সদস্যদের হামলা ও অপদস্তের প্রতিবাদ দুই সংগঠনের 

১৮

ফুটপাতে পাওয়া সেই নবজাতককে নিতে চান ২৩ দম্পতি

১৯

আগামী বছর থেকে ফুটবল ক্যালেন্ডারে আসছে বড় পরিবর্তন

২০
X