লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

১৯ বছর ধরে একটি সেতুর অপেক্ষায় ২০ হাজার মানুষ

এ বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হন অন্তত সাত গ্রামের মানুষ। ছবি : কালবেলা
এ বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হন অন্তত সাত গ্রামের মানুষ। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ও বাকই উত্তর ইউনিয়নের অন্তত সাত গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। বর্ষা এলে এ সাঁকোই হয়ে ওঠে ডাকাতিয়া নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা।

জানা গেছে, আলীশ্বর ও ভাবকপাড়া নামক স্থানে নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় আলীশ্বর, নুরপুর, কসরাইশ, ভাবকপাড়া, শিকারিপাড়া, গছকড়া ও পাড়া ভাবকপাড়া গ্রামের মানুষ বাধ্য হয়ে নিজেরাই প্রতিবছর বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকোটি সংস্কার করে আসছেন।

স্থানীয়রা জানান, নদীর পূর্ব পাশে রয়েছে আলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলীশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বীনিয়া মাদ্রাসা ও আলীশ্বর বাজার। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। বিশেষ করে বয়স্ক, নারী ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই পথচলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় কৃষক মকবুল মিয়া বলেন, গত বছর মাঠ থেকে খড় নিয়ে ফেরার পথে বাঁশের ফাঁকে পা আটকে পড়ে যাই, পরে লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন জানান, বছরের পর বছর ধরে ব্রিজ হবে শুনছি, কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।

বাকই উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, এই গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই— একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের মাধ্যমে এই জনদুর্ভোগ দূর করা হোক।

লালমাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি ড. শাহজাহান মজুমদার বলেন, একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে শুধু মানুষের দুর্ভোগই কমবে না, এলাকার শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সার্বিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।

লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, জনসাধারণের যাতায়াত সহজ করতে সংশ্লিষ্ট স্থানে সেতু নির্মাণের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘এলডিসি উত্তরণ ও বন্দর নিয়ে কেবল নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে’

দেশের ৮১ সরকারি কলেজ স্থান পেল ‘এ’ ক্যাটাগরিতে

স্ট্রোক করে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনে পপকর্ন বিক্রেতাকে হত্যা

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, গ্রেপ্তার ২৪

বস্তিবাসীর জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের আশ্বাস আমিনুল হকের

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: সাকি

তিন মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে : ডা. শাহাবুদ্দিন

১০

‘যারা কাসেমীর ফাঁদে পড়েছ, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো’

১১

ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা বাংলাদেশের

১২

বৃহত্তর নোয়াখালী নারী কল্যাণ সংঘ ইতালির আত্মপ্রকাশ

১৩

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

১৪

‘হাসিনার কালো আইন বাতিল করুন, না হয় নিবন্ধন দিন’

১৫

বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৬

আহত শিশুকে নেওয়া হলো হাসপাতালে, সড়কে পড়ে ছিল বিচ্ছিন্ন হাত

১৭

বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৮

যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের ২ সদস্য বরখাস্ত

১৯

দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

২০
X