চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে বিপন্ন প্রজাতির মৃত একটি ডলফিন ভেসে এসেছে। তিন দিন ধরে পড়ে থাকার কারণে অনেকটা পচে যায় ডলফিনটি। যার কারণে গুলিয়াখালী পর্যটন এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা।
বিষয়টি সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামকে জানানো হলে তা উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগকে জানানো হয়। পরে ডলফিনটি বুধবার (০৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
পর্যটন এলাকার স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সোমবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে জোয়ারের পানিতে ডলফিনটি ভেসে আসে। যার ওজন প্রায় ১০০ কেজি।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ডলফিন পচে যাওয়ার এতই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে যে আমি চারবার বমি করেছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ডা. কল্লোল বড়ুয়া বলেন, এটা মিঠাপানির শুশুক বা ডলফিন। কীভাবে মারা তা বলা যাচ্ছে না। ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ জানতে তার শরীর থেকে স্যাম্পল কালেকশন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রে জাহাজ বা কোনো কিছুর সঙ্গে আঘাত পেয়ে ডলফিনটি মারা যেতে পারে। বুধবার সন্ধ্যায় ডলফিনটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোতাছিম বিল্লাহ্ বলেন, এটি শুশুক বা ডলফিন হিসেবে পরিচিত। শান্ত স্বভাবের বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন স্তন্যপায়ী জলজপ্রাণী। বাংলাদেশে এখন এটি বিপন্ন প্রাণী হিসেবে পরিচিত। আঞ্চলিক ভাষায় হুম মাছ নামে পরিচিত হলেও প্রাণীটি আসলে ‘গাঙ্গেয় শুশুক, মিঠাপানির শুশুক বা ডলফিন’। কোনো নদীতে ডলফিনের উপস্থিতি মানে নদীর স্বাস্থ্য বা পরিবেশ ভালো থাকা।
সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ডলফিন মারা যাওয়ার বিষয়টি জানার পর দ্রুত প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন