কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি লালন ওরফে শুটার লালনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগরের বৈরাগীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তাকে একটি অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও, সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যা মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত লালন পূর্ব ফিলিপনগর গ্রামের রঞ্জু মালিথার ছেলে। তিনি কুখ্যাত সন্ত্রাসী ‘টুকু ও গিট্টু সোহাগ’ গ্যাংয়ের সদস্য এবং চরাঞ্চলের শীর্ষ অপরাধীদের একজন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে টুকু বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফিলিপনগরসহ আশপাশের এলাকায় হাট-বাজার দখল, চাঁদাবাজি, অস্ত্র-মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টু। তিনি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলেন এবং জনগণকে সতর্ক করেছিলেন। সেই কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ কালবেলাকে বলেন, লালনকে একটি অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে সেন্টু হত্যাসহ একাধিক মামলার তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন