ফরিদপুরের সালথায় মসজিদের চাবি না দেওয়ায় বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্যার সঙ্গে মৌলভি হেমায়েত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। চলমান বিরোধের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে লুৎফর রহমান ও ইমরানের সমর্থক নজরুলের কাছে থাকা স্থানীয় মসজিদের দরজার চাবি চাইতে যান মৌলভি হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা। এ সময় চাবি না দেওয়ায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর পর থেকে দিনভর উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
খবর পেয়ে রাতে পুলিশ, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার আলেমা-ওলামা ও বিএনপি নেতারা গিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
সংঘর্ষের সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার ওসি আতাউর রহমান কালবেলাকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন