বগুড়ায় প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে এসে বাসের ভেতর এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে শহরতলীর বনানী এলাকায় একটি মোটর গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে অভিযুক্ত বাসচালক রাকিবকে (২৮) আটক করে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আটক রাকিব বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া বি-ব্লক এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা।
পুলিশ জানান, ধর্ষণের শিকার কিশোরী সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ঢাকার মিরপুরের এক স্কুলছাত্রের সঙ্গে তার মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার সকালে প্রেমিক ঢাকায় থেকে কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে কড্ডার মোড়ে আসে। এরপর তারা কড্ডার মোড় থেকে বগুড়াগামী ‘আর কে ট্রাভেলস’-এর একটি বাসে ওঠে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাসের চালক ও হেলপার বুঝতে পারে তারা প্রেমিক-প্রেমিকা। দুপুর আড়াইটার দিকে বাসটি বগুড়া শহরতলির বনানী মোড়ে পৌঁছালে যাত্রীরা নেমে যায়। কিন্তু চালক ও হেলপার ওই কিশোর-কিশোরীকে বাস থেকে নামতে না দিয়ে বাসটি টেনে নিয়ে যায় পর্যটন মোটেলের পাশে থাকা একটি মোটর গ্যারেজে। সেখানে হেলপার কিশোর প্রেমিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দেয়। এরপর চালক রাকিব বাসের ভেতর কিশোরীকে ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনালে ফিরে আসে। মেয়েটির কান্না দেখে কয়েকজন শ্রমিক ঘটনাটি জানতে পারেন। পরে কিছু পরিবহন শ্রমিক নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মীমাংসার নামে কিশোরী ও তার প্রেমিককে ঢাকাগামী আরেকটি বাসে তুলে দেন।
এরই মধ্যে অভিযুক্ত চালক রাকিব বাস নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায় এবং রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রাকিবকে আটক করে।
এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হচ্ছে। হেলপারকে গ্রেপ্তারে একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন