আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি, জমি দখল ও নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতনের একাধিক মামলার আসামি আইয়ুব আলী সিকদার ওরফে ‘কিলার শিকদার’-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি দায়ের হওয়া একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন আইয়ুব আলী। এর আগেও তার বিরুদ্ধে জমি দখল, জাল কাগজপত্র তৈরি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অর্থ আদায়ের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার নবাব স্টেট এলাকায় প্রায় ২১ একর জমি জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা এবং জমির মালিকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
মামলার বাদী মো. বসির হাওলাদার জানান, গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় আইয়ুব আলী সিকদার ও তার সহযোগীরা তাকে অপহরণ করে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। পরে মারধর করে ২১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে এবং প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আইয়ুব আলী নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে বাস্তবে তিনি রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও জমি দখল করে আসছিলেন। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি মাঝে মাঝে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতেন। এতে সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসনের কিছু সদস্যও বিভ্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলার আসামি আইয়ুব আলী সিকদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ যাচাই করা হচ্ছে।’
এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, আইয়ুব আলী সিকদারের মতো প্রভাবশালী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাধারণ মানুষের জমি দখল বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের সাহস না পায়।
মন্তব্য করুন