সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৪ এএম
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে সিলেট

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটে তীব্র হচ্ছে লোডশেডিং, এতে জনজীবন অতীষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় অন্ধকারে থাকছে কোনো না কোনো এলাকা। দিনে ও রাতের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় নগরের বেশির ভাগ এলাকা।

এক এলাকায় বিদ্যুৎ এলে অন্য এলাকায় থাকে লোডশেডিং। এতে শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকটও তীব্র হচ্ছে। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনের অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ না থাকায় শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিলেট মহানগরে ১২৪ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে সরবরাহ হচ্ছে ৬২ মেগাওয়াট। সিলেট জেলায় ১৫০ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে সরবরাহ হচ্ছে ৮০ মেগাওয়াট। এ ছাড়া সিলেট বিভাগে ২৩০ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে সরবরাহ হচ্ছে ১৩০ মেগাওয়াট।

নগরের জিন্দাবাজারের বাসিন্দা মানিক আহমদ কালবেলাকে বলেন, এক সময় ১০-১৫ মিনিট পরে বিদ্যুৎ চলে আসত; কিন্তু এখন এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হলেও বিদ্যুৎ দেওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।

লামাবাজার এলাকায় নাসিম আহমদ কালবেলাকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় পানিরও তীব্র সমস্যা হচ্ছে। এলাকার মানুষ টাকা দিয়ে পানি কিনেছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে মানুষ এক সময় রাস্তায় নেমে আসবে।

কেবল বাসাবাড়িতে নয় বিদ্যুৎবিভ্রাটের ফলে নগরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও এর প্রভাব পড়ছে চরমভাবে। কোথাও জেনারেটর চালিয়ে আবার কোথাও আইপিএসের ওপর ভর করে ব্যবসা পরিচালনার চেষ্টা করছেন তারা।

জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী রাজন আহমদ জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যবসার পরিবেশ নেই। এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ক্রেতারা আসতে চায় না।

সিলেটে গত এক সাপ্তাহে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি হওয়া এবং ঘন ঘন লোডশেডিং থাকায় নাকাল হয়ে পড়ে জনজীবন। ফলে বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। বিদ্যুতের ভোগান্তি চরমে উঠায় অনেক জায়গায় বাধ্য হয়েই সিটি করপোরেশনের থেকে পানি কিনে ব্যবহার করছেন নগরবাসী।

বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান কালবেলাকে বলেন, জ্বালানি সংকটে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে না, এ কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা থাকতে পারে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির কালবেলাকে বলেন, চাহিদা থেকে বরাদ্দ কম হলে এমনিতেই লোডশেডিং হয়। এটা শুধু সিলেটে নয়, সারা দেশে একই অবস্থা। সহসাই এই অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। শীত আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শহীদ শিহাবের কবর জিয়ারতে জেলা এনসিপির নতুন কমিটির নেতারা

২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

‘আমাকে সাসপেন্ড করেন’ বলতে থাকা চিকিৎসককে অব্যাহতি

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বিকল্প কেউ নেই : কায়কোবাদ

গণতন্ত্র উত্তরণে খালেদা জিয়ার বেঁচে থাকা জরুরি : অমিত

চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্য, ৩ দিনেই ক্যানসার থেকে সুস্থ হলেন নারী

‘টাইম টু টাইম’ শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখছেন ডা. জুবাইদা

বিএনপি সবসময়ই ‘পলিটিক্স অফ কমিটমেন্টে’ বিশ্বাসী : রিজভী

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

মির্জা আব্বাসের আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভিপি সাদিক কায়েম

১০

‘দেশের অগ্রযাত্রায় প্রবাসী তরুণদের জ্ঞান-প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে যুক্ত করতে হবে’

১১

বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক চায় ভারত : প্রণয় ভার্মা

১২

চায়ের দোকানে বিমান হামলা, নিহত ১৮

১৩

ববি ছাত্রদলের নেতৃত্বে মোশাররফ-শান্ত-মিজান

১৪

ব্রিজ উদ্বোধনের আগেই প্যান্ডেল ভাঙচুর

১৫

কুলদীপ–প্রসিধের চার উইকেট, জয়সওয়ালের শতকে সিরিজ ভারতের

১৬

সামনের নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় পরীক্ষা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

‘ডরে আমার ভয় কাঁপতেছে’, প্রেস সচিবের ‘রহস্যময়’ পোস্ট

১৮

ডিইউজের সভাপতি শহিদুল, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ পুনর্নির্বাচিত

১৯

ভারতে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, ব্যাপক ধরপাকড়

২০
X