বরগুনার আমতলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক মো. রোকনুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় আমতলী উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় ৩ শতাধিক নারী ও পুরুষ।
মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, একটি কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে মূলত তিনি আমতলীতে কখনো আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গে কখনো দেখা বা সাক্ষাৎ করেননি। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করায় তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
বক্তারা বলেন, এ মহলটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমতলী উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে রোকনুজ্জামান খানের পদায়নের পূর্বের কিছু ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইন মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি আমতলীতে যোগদানের এক মাস আগে গত ৬ এপ্রিল তার মাকে ঢাকা পাঠানোর পথে আমতলী নতুন বাজার চৌরাস্তায় কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার অনুরোধে একটি রেস্তোরাঁয় চায়ের নিমন্ত্রণে প্রবেশ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, এ সময় তাকে দেখে রেস্তোরাঁয় আগে থেকে বসে থাকা এক স্থানীয় সামাজিক ব্যক্তি কুশল বিনিময় করতে আসলে তারা একটি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেই ছবি নিয়ে কয়েক মাস পর স্বার্থান্বেষী মহল ভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রকাশ করছে। এ ছাড়াও ঝালকাঠিতে কর্মরত এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে পারিবারিক একটি ছবি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে চক্রটি। ছবিটি মূলত কলাপাড়ার আমতলী ও বরগুনার খাদ্য কর্মকর্তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানের ছবি।
এ ছাড়া মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মকবুল হোসেন খান, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তোফাজ্জেল হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বশার তালুকদার, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জালাল আহমেদ খান, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামী আন্দোলনের পৌর শাখার নেতা মাওলানা কামরুজ্জামান, ৭নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও যুবদল সদস্য মো. শামসু চৌকিদার, আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ খান তাপস, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. হেলাল চৌকিদার, সদস্য সচিব মো. ইমরান খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান কালবেলাকে বলেন, আমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পারিবার নিয়ে ভ্রমণকালে খাদ্য গুদামে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের একটি পারিবারিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি। সেখানে একজন কর্মকর্তাকে জড়িয়ে যে তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, তা আদৌও সত্য নয়।
তিনি আরও বলেন, আমার বাড়ি শেরপুর জেলায় হওয়ায় বরগুনার আমতলী হয়ে সেখানে যেতে হয়। আমি পাথরঘাটায় কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার মাকে শেরপুরগামী বাসে উঠিয়ে দিয়ে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে একটি হোটেলে চায়ের আমন্ত্রণে বসি। সেখানে জনৈক এক ব্যক্তি কুশলাদি জানতে এসে আবার পরক্ষণে চলে যায়। আসলে আমি তাকে আদৌও চিনি না। এসব ছবি দিয়ে আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
মন্তব্য করুন