

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে স্বামী আলমগীর হোসেনের অমানুষিক নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়েছেন শারমিন আক্তার নামের এক গৃহবধূ। ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরা আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আলমগীর হোসেন একই গ্রামের সাদা মিয়ার ছেলে এবং পেশায় তিনি হাটে ছাগল কেনাবেচা করেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় চার বছর আগে শারমিন আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন আলমগীর। বিয়ের পর থেকেই সামান্য কথাকাটাকাটিতেই স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। এরই জেরে সোমবার সকালে আলমগীর প্রথমে লোহার রড আগুনে গরম করে স্ত্রীর মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়। এরপর কাঁচি দিয়ে শারমিনের বাঁ পায়ের রগ কেটে দেয়। এতে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে শারমিন অচেতন হয়ে পড়েন। অচেতন অবস্থায় প্রতিবেশীরা শারমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শারমিনের মা সুফিয়া বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে আলমগীর। আজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন নৃশংস নির্যাতন করেছে। সংসারে স্ত্রী-সন্তানের দেখভাল করে না আলমগীর। নির্যাতনের পর মেয়েকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশী ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নুপুর বলেন, রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর ক্ষত রয়েছে। বিশেষ করে পায়ের রগ কাটার কারণে তিনি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শকের মধ্যে রয়েছেন। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, সোমবার রাতে শারমিন আক্তারের মা সুফিয়া বেগম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেটি তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন