

বরিশালে পুলিশ সদস্যের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়েছে মাসুদ হাওলাদার মাসুম ওরফে প্রকাশ মাসুম নামের এক মামলার আসামি। এ সময় পুলিশের অভিযানিক দলের সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আসামির সহযোগীরা।
হামলায় ফাঁড়ির ইনচার্জসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন— বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক গোলাম মোহাম্মদ নাসিম হোসেন, এটিএসআই জাহিদুর রহমান এবং এএসআই বোরহান।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর ভাটারখাল পাইকারি কাঁচাবাজার সংলগ্ন ডিসিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রী এবং ভাইসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন— রাইজুল ইসলাম রিফা, অভিযুক্ত মাসুমের ভাই মো. সোহেল হাওলাদার, বোন শিল্পি বেগম ও স্ত্রী নাসরিন জাহান রিমি।
তা ছাড়া আটক চারজনসহ ১৫ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৭০ জনকে অভিযুক্ত করে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই মাহবুব আলম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, আসামি ছিনতাই এবং হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফাঁড়ি ইনচার্জ গোলাম মোহাম্মদ নাসিম হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে স্টিমারঘাট এলাকায় একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাসুদ হাওলাদার মাসুমকে গ্রেপ্তার করতে যান তারা। মাসুম ওই এলাকার ভাটারখাল কলোনির রুস্তম হাওলাদারের ছেলে।
ফাঁড়ি ইনচার্জ আরও জানান, মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হলে তার পরিবারের সদস্য এবং সহযোগীরা রড, লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মাসুম ফাঁড়ি ইনচার্জের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান কালবেলাকে জানান, আসামি মাসুম পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাদেরকে পুলিশের ওপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন