দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে মৃত গাছ যেন মরণফাঁদ

মহাসড়কের দুপাশে মৃত গাছ। ছবি : কালবেলা
মহাসড়কের দুপাশে মৃত গাছ। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় মরা গাছের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। এই সড়কের শুধু দেবিদ্বার অংশে প্রায় ছোট বড় প্রায় তিন শতাধিক মরা গাছ রয়েছে। বৃষ্টি এবং প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাসে এসব গাছের শুকনো ডালপালা ভেঙে পড়ে আহত হচ্ছেন পথচারী এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ছগুরা থেকে উপজেলার শেষ সীমানা ভিংলাবাড়ি পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের দুই পাশে শিশু, মেহগনি, রেইনট্রি অসংখ্য মরা গাছ রয়েছে। কোনোটিতে ঘুণ ধরেছে, আবার কোনোটিতে কাঠপোকা বাসা বেঁধেছে। মরা কয়েকটি গাছ সড়কে হেলে পড়েছে। এতে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী শঙ্কিত।

এ ছাড়াও পৌরসভার বাসিন্দাদের ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় সাইলচর এলাকায় এসব মরা গাছের নিচে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। ফলে ধোঁয়া ও ময়লার দুর্গন্ধে পরিবেশদূষণসহ অর্ধশতাধিক গাছের গোড়া পচে মরে গেছে। সামান্য বৃষ্টি বা বাতাস এলে সড়কেই ভেঙে পড়ছে মরা গাছ ও ডালপালা। এতে আহত হচ্ছেন বিভিন্ন যানবাহনের চলাচল করা যাত্রীরা।

জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, এ সড়কে মরা গাছগুলো মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচলে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। হালকা বাতাস এলেই সড়কের ওপর ভেঙে পড়ছে আস্ত গাছ ও শুকনো ডালপালা। এতে অনেক পথচারী ও যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। মরা গাছগুলো দ্রুত অপসারণ করা দরকার।

মহাসড়কের দেবিদ্বার থেকে চরবাকরে চলাচল করা সিএনজি অটোরিকশাচালক সাব্বির হোসেন বলেন, একবার প্রচণ্ড বাতাসে আমার সিএনজির ওপর মরা গাছের একটি ডাল ভেঙে পড়ে, আমিসহ সিএনজির যাত্রীরা অল্পতে রক্ষা পাই। নিয়মিত এ সড়কে চলতে হয়, একটা আতঙ্ক কাজ করে।

দেবিদ্বার উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি ফোর লেন হওয়ার কারণে আগামী মাসে এ সড়কের মরা ও জীবিত ৩ হাজার ৪০০টি গাছ কাটার টেন্ডার নোটিশ করা হবে। এরপর সড়কটির ফোরলেন নির্মাণকাজ শুরু হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘ওলামা-মাশায়েখদের ত্যাগ-কোরবানি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’

যুদ্ধবিরতিতে গাজার ঘরে ঘরে আনন্দ, রাস্তায় মিছিল

সচেতন হলে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব : চসিক মেয়র

২০ মাসে মামলার রায়, স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারই জাতির একমাত্র লক্ষ্য : গয়েশ্বর

ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভেঙে ফেললেন লন্ডন প্রবাসী

ইসরায়েলের যে কারাগারে বন্দি শহিদুল আলম

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, টিটিপি প্রধান নিহতের গুঞ্জন

বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল

এককভাবে সরকার গঠন করবে বিএনপি : এমরান চৌধুরী

১০

‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে রংপুর অচল করে দিতে বাধ্য হবো’

১১

নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না : লায়ন ফারুক

১২

ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন

১৩

বৃহত্তর মিরপুরে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৪

দেশ বাঁচাতে হলে বিএনপির বিকল্প নেই : টুকু

১৫

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা / বস্তিবাসী ও শহীদ পরিবারের ন্যায্য দাবি মেনে নিন

১৬

মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

১৭

রাজধানীতে ১৭ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জাগপা ছাত্রলীগের বৈঠক

১৮

হাত-মুখ বেঁধে শিশুকে ধর্ষণ, যুবককে খুঁজছে পুলিশ

১৯

এনসিটিবির নামে ‘নকল’ ছাপাখানা, আটক ৫ 

২০
X