

নীলফামারীর ডিমলায় দ্রুতগতির ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে একই পরিবারের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন শিশুসহ আরও চারজন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ডালিয়া- পাগলাপীর সড়কের খালিশা চাপানি ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা এলাকার সোনা উল্লাহর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৫) স্ত্রী, শিশু সন্তান ও বোনকে নিয়ে বাজার থেকে অটোরিকশায় চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তালতলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবোঝাই একটি দ্রুতগতির ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তেই অটোরিকশাটি রাস্তায় উল্টে যায়।
ঘটনাস্থলেই মারা যান আশরাফুল ইসলাম। গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার বোন রুপিয়া বেগমও (৩০) মৃত্যুবরণ করেন। এতে আশরাফুলের পরিবারে গভীর শোক নেমে এসেছে।
অটোরিকশায় থাকা আশরাফুলের স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সী শিশু সন্তানসহ আরও চারজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে রংপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয়রা ট্রাকটি তাড়া করে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
হাইওয়ে হাতীবান্ধা থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে এলাহী বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি জব্দ করেছে। পলাতক চালককে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসী জানান, ডালিয়া- পাগলাপীর সড়কে দীর্ঘদিন ধরে ভারী ট্রাকের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। তারা সড়কে নিয়মিত নজরদারি, গতিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও স্পিড ব্রেকার স্থাপনের দাবিও জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন