ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতের পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকানে রমরমা ব্যবসা

সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ফুটপাতে পিঠার দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন শহরবাসীরা। ছবি : কালবেলা
সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ফুটপাতে পিঠার দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন শহরবাসীরা। ছবি : কালবেলা

জামালপুরের ইসলামপুর শহরের অলিতে গলিতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই হালকা শীত নামতে শুরু করে যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। কর্মব্যস্ততার কারণে শহরের বাসাবাড়িগুলোতে আগের মতো অনেকের আর পিঠা বানানোর সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না। কিন্তু পিঠার স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না পিঠাপ্রেমীরা। সেজন্য সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরবাসী এবং দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষ রীতিমতো ফুটপাতে পিঠার দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।

সরেজমিনে শহর ঘুরে দেখা যায়, প্রতি বছর শীতের সময়ে এক শ্রেণির মানুষ ৪ থেকে ৫ হাজার বা সামান্য একটু কম বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করে পিঠা বানিয়ে বিক্রি করছেন। বিকাল হলেই ফুটপাতে বসে মাটির চুলা জ্বালিয়ে তার ওপর ছোট ছোট মাটির তৈরি পাতিল লোহার কড়াই বা হাঁড়ি বসিয়ে বানাচ্ছেন পিঠা। গরম গরম চিতই পিঠা নামিয়ে প্লেটে নানা ধরনের ভর্তা সাজিয়ে ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে। প্রতি পিস চিতই পিঠা বিক্রি হয় ৫-১০ টাকা করে। আর ভাপা পিঠা মানভেদে বিক্রি হয় ১০-২০ টাকা। এতে একেকজন পিঠা বিক্রেতার দিনে আয় হচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। শহরের থানা মোড়, দেনুয়া মোড়, কলেজ মোড়, স্টেশন বাজার মোড়, বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে শীতের পিঠা।

থানা মোড় এলাকার এক পিঠা বিক্রেতা রমিছা বেগম জানান, শীত এলে তাদের ব্যাবসা ভালো হয়। বছরের অন্যান্য সময় পিঠা বিক্রি না হলেও শীতে দোকান খোলার পরপরই ক্রেতাদের ভিড় পড়ে যায়। তারা আরও জানান, দিনের চেয়ে রাতে পিঠা বিক্রি বেশি হয়। শুক্রবার ও শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ক্রেতাদের কাছে সিরিয়ালে পিঠা বিক্রি করতে হয়। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি চালের গুড়োর পিঠা বিক্রি হয়। খরচ বাদ দিয়ে যা লাভ হয় তা দিয়েই সংসার খুব ভালোই চলছে তার।

দেনুয়া মোড় এলাকার পিঠা বিক্রেতা জরিনা বেগম জানান, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি চালের চিতই পিঠা বিক্রি করেন তিনি। তিনি দুধ চিতই পিঠাও বিক্রি করেন। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ১ দিন ২ দিন আগেই তার কাছে এসে এই পিঠার অগ্রিম অর্ডার দিচ্ছেন। কেউ কেউ চুলার আগুনের পাশে বসেই দু-চারটি করে পিঠা খেয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি সন্ধ্যার পরেই পিঠা দোকান খুলি। শীতকালে এই পিঠা বিক্রি করে আমি আমার পরিবার নিয়ে খুব সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করি।

পিঠা ক্রেতাদের কাছে জানা যায়, কর্মব্যস্ততার কারণে শহরের বাসাবাড়িগুলোতে আগের মত অনেকের আর পিঠা বানানোর সময় সুযোগ হয়ে উঠে না। কালের বিবর্তনে অনেক ঐতিহ্য যেন হারিয়ে যাচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ পিঠা ব্যবসায়ীরা খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। সহকর্মী ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে মাঝেমধ্যেই ফুটপাতে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসি। ফুটপাতে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাতিয়ায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান মিন্টু চিরনিদ্রায় শায়িত

ঢাকা-১৩ আসনে ধানের শীষের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি

কড়াইল বস্তিতে আগুন, তারেক রহমানের সমবেদনা

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

১০

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

১১

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

১২

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

১৩

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

১৪

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

১৫

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

১৬

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

১৭

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৮

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৯

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

২০
X