

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নৈশপ্রহরীকে বেঁধে চারটি স্বর্ণের দোকনে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল স্বর্ণ ও টাকাসহ কোটি টাকার মতো নিয়ে গেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অষ্টমনিষা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আঁখি জুয়েলার্স, মা জুয়েলার্স, মধু জুয়েলার্স ও উত্তম জুয়েলার্স নামের পাশাপাশি কয়েকটি স্বর্ণের দোকান। মালিকরা দোকান তালাবদ্ধ রেখে রাতে বাসায় চলে যান। বাজারে তিনজন নৈশপ্রহরী রয়েছে। বুধবার গভীর রাতে ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল প্রহরীদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তিনটি দোকানের তালা কেটে স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে। এরপর উত্তম জুয়েলার্সের সিন্দুক ভাঙতে না পেরে দোকানের ওপরে থাকা মালিক রঞ্জন কর্মকারকে শারীরিক নির্যাতন করে সিন্দুকের চাবি নিয়ে নেয়। চাবি নিয়ে সিন্দুকে রাখা স্বর্ণ, রুপা ও টাকা নিয়ে যায়।
রঞ্জন কর্মকারের বাবা রতন কর্মকার বলেন, আনুমানিক রাত ২টার দিকে বাসার গেটে ডাকাডাকি শুরু করে ডাকাতদল। পরিচয় জানতে চাইলে তারা প্রশাসনের লোক পরিচয় দেন।
আঁখি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আত্তাব বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দোকানে এসে দেখি, দোকানে কিছু নেই। সব নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
মা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী বলেন, আমি অনেক টাকা ঋণ করে দোকান করেছি। ডাকাতির ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে গেছি।
মধু জুয়েলার্সের তপন কর্মকার কান্নাকণ্ঠে বলেন, সোনা ও নগদ টাকাসহ তার প্রায় ১৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে ডাকাত দল।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ভোরে ডাকাতি হওয়া দোকানগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ডিবি তদন্ত করবে।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ডাকাতির ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন টিম কাজ করছেন এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন