

সুদানের আবেই এলাকায় শান্তি রক্ষী মিশনে যাওয়ার এক মাস ৭ দিন পর সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য করপোরাল মাসুদ রানা এসএসসি (নাটোর) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর আরও ৫ সদস্য নিহত ও ৮ সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে তাদের পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার পর মাসুদ রানার পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
নিহত মাসুদ রানার বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত সাহার মালিথা।
মাসুদ রানার বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার মা ঘরের বারান্দায় শুয়ে ছেলের জন্য কান্না করছেন। স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি জানান, সর্বশেষ তার সঙ্গে গতকাল কথা হয়। কিন্তু পরে আবার তাকে ফোন করার কথা থাকলেও তার মোবাইলে আর মাসুদ রানার কল আসেনি। পরে রাত ১০টার দিকে জানতে পারেন তার স্বামী শান্তিরক্ষী মিশনে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন।
তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আমরা মাসুদের হাত নেই এমন একটি রক্তাক্ত ছবি দেখেছি।
নিহত মাসুদ রানার চাচাতো ভাই ফিরোজ আল মামুন জানান, তারা ৩ ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। ৩ বছর হলো বাবা মারা গেছেন। সবার বড় মাসুদ রানা, ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদ। মাসুদ রানার ৮ বছর বয়সের একটি কন্যা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০০৫ সালে মাসুদ রানা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সেনা সদস্য হিসেবে বগুড়া সেনানিবাসে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি যশোর সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। মাসুদ রানা গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে সুদানে শান্তিরক্ষী মিশনে যান। বিকেলে তার পরিবারের সঙ্গে নাটোর ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দেখা করে তাদের পাশে থাকার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিহত মাসুদ রানার লাশ দেশে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হোক।
মন্তব্য করুন