

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে হাতিয়ার সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার প্রধান ফটকের সামনে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা সমবেত হয়ে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
বিক্ষোভকারীরা থানা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বিক্ষোভে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, ছাত্রসমাজ এবং সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এনসিপির হাতিয়া উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন- এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব মো. আলা উদ্দিন, জাতীয় যুবশক্তির জেলা আহ্বায়ক নুরুল আমিন রিপন, উপজেলা আহ্বায়ক ইউসুফ রেজা, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় উপ-প্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান, উপজেলা আহ্বায়ক নেয়ামত উল্যাহ নীরব ও সদস্য সচিব আশিক এলাহি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হাতিয়ায় দিনের পর দিন সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর এখন প্রকাশ্যে এনসিপি প্রার্থী হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তারা হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সব খুনিকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, হান্নান মাসউদকে দেওয়া হুমকির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং হাতিয়ায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানান।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কথা বলেন। তারা আশ্বস্ত করেন যে, ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং হান্নান মাসউদকে হুমকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দ্রুতই সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।
সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করে রাজপথ ত্যাগ করেন। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন