বরিশালে গাঁজা বিক্রি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক কর্মকর্তা ও এক সদস্য। পরে আটক দুজনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেড় কেজির বেশি গাঁজা উদ্ধার করে র্যাব। তবে স্থানীয়দের সাথে আটককৃতদের ধস্তাধস্তির সময় আরও দেড় কেজির মতো গাঁজা নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত বিভাগীয় পরিচালক পরিতোষ কুমার কুণ্ডু।
আটককৃতরা হলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলার ‘ক’ সার্কেলের উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল্লাহ খান ও সিপাই মো. সবুর। এদের মধ্যে ওবায়দুর রহমান ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার সাটোরিয়ার আব্দুল মালেকের পুত্র এবং সবুর পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার উত্তর কঠিন এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।
র্যাব, পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আজ সকাল সোয়া ৬টার দিকে নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর ডগেরপার নামক স্থানে মোটরসাইকেলযোগে তারা ব্যাগভর্তি গাঁজা নিয়ে আসে।
এ সময় স্থানীয়রা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে নিজেদের মাদকদ্র্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক এবং তারা আসামি ধরতে এসেছেন বলে দাবি করেন। তখন তাদের সাথে থাকা ব্যাগ খুলে দেখতে চান স্থানীয় নারীরা।
তারা ব্যাগ দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে স্থানীয় কোহিনুর বেগম, শিল্পী এবং সোনিয়াসহ কয়েকজন নারী তাদের হাত থেকে ব্যাগ কেড়ে নিয়ে ভিতরে গাঁজা দেখতে পান। এ সময় ব্যাগ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে টানাহেঁচড়ার একপর্যায়ে ব্যাগের মধ্যে থেকে গাঁজা বেরিয়ে আসে।
পরে নারীদের চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সদস্যকে আটক করে র্যাব এবং থানা পুলিশকে খবর দেয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানান, ‘র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে গাঁজাসহ তাদের দুজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নম্বর- ২৬/২৩।
এ প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (উপ-পরিচালকের দায়িত্বে) পরিতষ কুমার কুন্ডু বলেন, খবর শুনে দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আমর বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়েছি। মামলার কপি হাতে পেলে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন