ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার উপকূলবর্তী জেলাগুলোয় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২০ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে বন্যা দেখা যেতে পারে। আর ১৫ জুন থেকে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোয় নিয়মিত ভারি বৃষ্টির হতে পারে।
সোমবার (১৯ জুন) ইন্ডিয়ার মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের একটি পোস্ট শেয়ার করে এসব তথ্য জানান আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২২ জুন পর্যন্ত ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্যের সবটিতে ভারি থেকে প্রবল ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এই বৃষ্টির পুরোটাই রংপুরের ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
এদিকে রোববার (১৮ জুন) থেকে তিস্তা নদীর উজানে ভারতের গজল ডোবা বাঁধের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। ফলে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে রোববার রাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। এরপর সকাল ৯টায় পানি কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ১৭ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৩টায় ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার (২০ জুন) রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামসহ তিস্তার চর এলাকাগুলো আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
মন্তব্য করুন