নদীতে মাছ ধরার আধিপত্য নিয়ে জেলেদের ওপর জলদস্যু বাহিনীর হামলা ও গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ অংশে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আরও দুজন।
আহতদের একই দিন রাত ১টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর দিকে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যু বাহিনী।
নিহত আবদুর রহমান (৪০) ও মো. ইসমাইল (৪২) সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
সন্দ্বীপ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মানস বিশ্বাসের বরাত দিয়ে দুই জেলে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্দ্বীপ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দুই জেলের মরদেহ সন্দ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহত দুই জেলের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন, জিল্লুর রহমান (৩২) ও নুর আলম মিয়া (৩৫)। এদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে সকালে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ অংশ থেকে দীর্ঘদিন থেকে মাছ শিকার করে আসছে। কিছুদিন আগ থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এই খেপ দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ওই খেপ দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয় জলদস্যু বাহিনী। এ নিয়ে জেলেদের সঙ্গে তাদের সংর্ঘষ শুরু হয়।
মন্তব্য করুন