চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে দৌলৎগঞ্জ থানা জামে মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চুরি শেষে একটি চিরকুট লিখে মসজিদে রেখে যান। ঘটনাটি শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতের। ওই দুর্বৃত্ত মসজিদের রসিদ বই, সাউন্ড সিস্টেম, ইয়ার ফোন, মাইক সেটের যন্ত্রাংশ নিয়ে যায়। এ ছাড়া মসজিদের বাইরে থাকা দান বাক্সটি ভাঙার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এদিকে চুরি শেষে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাকে। ধারণা করা হচ্ছে, মসজিদের কাচের দরজার ভাঙতে গিয়ে তিনি আহত হন।
চিরকুটে চোর লিখেন, ‘আমি পেশাদার চোর নই। আমার মা অসুস্থ। মায়ের জন্য চুরি করলাম। আমাকে সবাই মাফ করে দেবেন। আমি এইচএসসি পাস। কিন্তু জীবনে কিছু করতে পারিনি।’
স্থানীয়রা জানান, দৌলৎগঞ্জ থানা জামে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিন প্রতিদিনের মতো এশার নামাজ শেষে মসজিদের দরজা তালাবদ্ধ করে নিজ বাড়িতে চলে যান। পরে ফজর নামাজের আজান দিতে গিয়ে মোয়াজ্জিন আরাফাত হোসেন দেখতে পান, মসজিদের তালা ভাঙা। পাশে রক্তের ফোঁটা। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন বেশকিছু মালামাল চুরি হয়ে গেছে এবং দানবাক্স ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা চোরকে শনাক্তের চেষ্টা করি। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি এক যুবক মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর পাঠানো হয়েছে। তবে তার নাম হাসপাতালে আপন বলে পরিচয় দিয়েছে। তার বাড়ি কখনও হাসাদহে, কখনও কোটচাঁদপুর বলে জানিয়েছে। পরে জীবননগর থানা পুলিশ আমার মসজিদ থেকে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবিদ হোসেন বলেন, ‘চোরকে শনাক্ত করে মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রথমে চোর হিসেবে শনাক্ত করা যায়নি। তার অস্বাভাবিক আচরণ ছিল। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্তব্য করুন