আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আঙ্গুল তুললেন মতলব উত্তরের ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী মিজান।
সোমবার (২ অক্টোবর) চাঁদপুরের মতলব উত্তরের কাজী মিজান গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন। এর আগে শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেও কাজী মিজান তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
কাজী মিজান বলেন, আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং মোহনপুরের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমিসহ আমার পরিবার মায়া গ্রুপের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে অহেতুক বাবু হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার বিচারকাজ চলমান। আমি জামিনে থাকা সত্ত্বেও আমাকে প্রতিনিয়ত মায়া গ্রুপ হতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
কাজী মিজান দাবি করেন, বাবু হত্যার সময় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী তিনি এবং তার অন্যান্য ভাই ও নেতাকর্মীরা বাড়িতেই অবস্থান করছিল যা সবাই জানে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা ১২০টি পরিবারের ৫৫টি ঘরবাড়ি, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, গবাদিপশু, নগদ ১২ কোটি টাকা লুটপাটসহ ২ নারীকে নৌকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা চলমান রয়েছে। আর তাই এর জের ধরে বাবু হত্যার প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতে তাকে ও তার পরিবারেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই তিনি তাদের সবার জীবন সংকটাপন্ন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
এ সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন তপাদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিল্লাল মৃধা, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ সরকার, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মুঠোফোনে কল করলেও কল রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গেল ১৭ জুন বাহাদুরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। বাবু আওয়ামী লীগের প্রসিডিয়াম সদস্য মায়া গ্রুপের সদস্য এবং অপরপক্ষ হচ্ছেন এই মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজান গ্রুপ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলায় কাজী মিজানসহ তার গ্রুপের অনেকেই আটক হয় এবং জেলে যেতে হয়। যদিও বিষয়টি এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন