নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। পানির নিচে তলিয়ে গেছে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর ধানের জমি। আর সহস্রাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য চাষি ও কৃষকরা।
এদিকে পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন উপজেলার কৃষকরা। জলাবদ্ধতায় পৌর শহরের কান্দিউড়া, শান্তিবাগ, আরামবাগ ও কমলপুরের বিভিন্ন এলাকায় তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে বাসাবাড়ি ও দোকানে। বাসায় পানি ওঠায় অনেকের রাত কেটেছে নির্ঘুম। আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভিজে বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল এলাকার খোঁজখবর রাখছেন বলে জানা গেছে এবং পরিস্থিতি দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
মৎস্য চাষি আবদুর রউফ জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার পুকুর পানিতে ভেসে গেছে। শিং ও অন্যান্য মাছ ভেসে গিয়ে লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
পিজাহাতি গ্রামের শাহজাহান বাঙ্গালি জানান, তার ১৭০ শতক জমি পানির নিচে। এসব জমিতে ৪৯ ও হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ করেছিলেন। তবে সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর ধানের জমি নিমজ্জিত হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পানি যদি দু-একদিনের মধ্যে না কমে তাহলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল আলম জানান, এখন পর্যন্ত যতটুক খবর নিতে পারছি তাতে হাজারের বেশি পুকুর ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল জানান, টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি অনেক পুকুর, আমন ফসলের জমি, সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। কয়েকটি স্থানে রাস্তা ধসে গেছে। দুপুর থেকে বৃষ্টি কমেছে। আর বৃষ্টি না হলে এবং দুয়েক দিনের মধ্যে পানি সরে গেলে ধানের খুব বেশি একটা ক্ষতি হবে না। তবে মৎস্য চাষিদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে ওঠা কঠিন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনার প্রয়োজন হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন