গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ময়মনসিংহে পানির নিচে ১৭৫০ হেক্টর রোপা আমন

ময়মনসিংহে টানা বর্ষণে ধান ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে। ছবি : কালবেলা
ময়মনসিংহে টানা বর্ষণে ধান ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে। ছবি : কালবেলা

আশ্বিনের টানা বর্ষণে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আমন ধানের ১৭৫০ হেক্টর জমির পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়াও পানিতে ডুবেছে সবজির ৮০ হেক্টর জমি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফার ইয়াসমিন জলি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার টানা বর্ষণে উপজেলা ও পৌর শহরের রোপা আমন ধান এবং সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে যায়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় আমন মৌসুমে ২০৭২০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই মাস থেকে কৃষকরা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করে। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও কৃষকের সঠিক পরিচর্যায় আমন ধান চারা দ্রুত বেড়ে উঠতে শুরু করে। আগামী এক মাসের মধ্যেই ধান জমি থেকে কাটার উপযোগী হবে। এরমধ্যেই গত বৃহস্পতিবার টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চলের আমন ধানের জমি পানিতে ডুবে যায়।

উপজেলার রামগোপালপুর, মাওহা, বোকাইনগর, সহনাটি, অচিন্তপুর ডৌহাখলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে আমন ধান ও সবজির জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।

উপজেলার কড়মড়িয়া গ্রামের কৃষক শেখ সাদী বলেন, এত পানি ৮৮ সালের বন্যাতেও দেখিনি। অতি বৃষ্টিপাতের কারণে পানির তোড়ে আমার বাড়ির পারিবারিক পুষ্টিবাগান, আলু, মিষ্টি আলু, হলুদসহ অন্যান্য সবজির জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন লাখ টাকা।

উপজেলার নয়ানগর গ্রামের কৃষক আজহারুল করিম বলেন, টানা বর্ষণে আমাদের গ্রামের অধিকাংশ আমন ধানের জমি পানিতে ডুবে গেছে। আমার ২৭ কাঠা আমন ধানের জমি পানিতে ডুবে আছে। ধান গাছ সব পচে যাচ্ছে। পানি কমলেও এই জমি থেকে আর ধান পাব না।

নয়ানগরের আরেক কৃষক মিস্টার মিয়া বলেন, লাভের আশায় চার কাঠা জমিতে বেগুন চাষ করেছিলাম। পানিতে বেগুনের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

উপজেলার মানিয়ারকান্দা গ্রামের কৃষক আবুল হাসিম বলেন, টানা বর্ষণে ১৫ কাঠা জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা কৃষক মানুষ এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে উঠব বুঝতে পারছি না।

উপজেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি কমরেড হারুন আল বারী বলেন, গত ৫২ বছরের মধ্যে বৃষ্টিপাতে এ অঞ্চলে এত পানি হয়নি। কৃষকের ধান ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। হ্যাচারি মালিক ও মাছ চাষিদের মাছ ভেসে গিয়ে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহযোগিতার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, টানা বর্ষণে উপজেলার ১৮৩০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রোপা আমন ১৭৫০ হেক্টর ও সবজি ৮০ হেক্টর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাঠানো হয়েছে। বিশেষ প্রণোদনা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্যাশমেমো নেই, খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দামে কাঁচামাল

রামপুরায় ভবনের ৬ তলা থেকে পড়ে রডমিস্ত্রির মৃত্যু

কুড়িয়ে পাওয়া ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন ভ্যানচালক

বুড়িগঙ্গা থেকে লাশ উদ্ধার / ৪ জনকেই হত্যা করা হয়েছে, ধারণা পুলিশের

ওসির বদলির খবরে মোহাম্মদপুর থানার সামনে মিষ্টি বিতরণ স্থানীয়দের

বিএনপি নেতা আব্দুস সালামের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন ডা. কাঁকন 

সিপিএলে ইতিহাস গড়ে ফ্যালকনসকে জেতালেন সাকিব

নতুন ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন / মাত্র ১০০ টাকায় করা যাবে দক্ষতা, চাকরি কিংবা ভর্তি প্রস্তুতির কোর্স

সড়কের মাঝখানে গাছ রেখেই ঢালাই সম্পন্ন 

বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১০

টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবির ভিসি

১১

৬৪ জেলার নেতাকর্মীদের নতুন বার্তা দিল এনসিপি

১২

ম্যানইউর জয়হীন ধারা অব্যাহত, এবার ফুলহামের মাঠে ড্র

১৩

ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা-পেশাজীবীদের নিয়ে ‘আগামীর পথ’ অনুষ্ঠিত

১৪

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের অনন্য কীর্তি

১৫

জুলাই যোদ্ধা শহীদ তানভীরের চাচা খুন

১৬

ভরা জোয়ারে ডুবে যায় বিদ্যালয়, শঙ্কায় অভিভাবক-শিক্ষার্থী

১৭

যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি

১৮

তারের পর এবার চুরি হলো সেতুর রিফ্লেক্টর লাইট

১৯

‘এবার আমাদের পালা’ স্বরূপ আচরণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে : টিআইবি

২০
X