গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আগাম জাতের ধানে ভালো ফলন, খুশি কৃষক

গৌরীপুরে নমুনা শস্য কর্তন প্রোগ্রামে কৃষি কর্মকর্তাসহ কৃষকরা। ছবি : কালবেলা
গৌরীপুরে নমুনা শস্য কর্তন প্রোগ্রামে কৃষি কর্মকর্তাসহ কৃষকরা। ছবি : কালবেলা

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চলতি আমন মৌসুমে আগাম জাতের ধান চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, উপজেলায় এবার ৫ অক্টোবর অতিবৃষ্টিতে কৃষির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপর্যয় কাটিয়ে কৃষক আগাম জাতের ধান আবাদ করে ঘরে তুলতে পারছে এটা স্বস্তির বিষয়। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক খুশি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ২০ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের রোপা আমন আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে।

আগাম জাতের ধানের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান ৭১, ব্রিধান ৭৫, ব্রিধান ৮৭ বিনা ধান ১৭, বিনা ধান ১৬ ও হাইব্রিড ধান। আগাম জাতের মেয়াদ কাল ১১০/১১৫ দিন। আমন মৌসুমে উপজেলায় শ্রাবণ মাসের প্রথম থেকে মাঝামাঝি সময়ে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করেছে কৃষকরা। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সঠিক পরিচর্যায় আগাম জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আশ্বিনের শেষ দিকে কৃষকরা আগাম জাতের ধান কাটা শুরু করেছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আশ্বিনের শেষ দিক থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু করেছে কৃষক। প্রতি কাঠায় ৫ থেকে ৬ মণ করে ধান পাচ্ছে কৃষক। বাজারে প্রতি মণ ধানের দাম ১০৫০ টাকা।

উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের কড়মরিয়া গ্রামের কৃষক শেখ সাদী বলেন, আমি আমন মৌসুমে ৯ কাঠা জমিতে আগাম জাতের ধান আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি। প্রতি কাঠায় খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা। এই ধান আবাদ করে খরচের তুলায় দ্বিগুণেরও বেশি। এখন বোরো মৌসুমের আগে জমিতে সরিষা চাষ করবো।

উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক বলেন, আগে বছরে এক জমিতে বোরো ও আমন দুই ফসল চাষ করতে পারতাম। আগাম ধানের চাষে সময় কম লাগায় এখন আমন ও বোরো আবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি ও সরিষাও আবাদ করতে পারি। এতে কৃষক লাভবান হচ্ছে।

উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, আমি ৩৩ শতক জমিতে আগাম জাতের ধানের আবাদ করেছি। এই ধান অন্য ধানের চেয়ে অনেক আলাদা। অন্য খেতের তুলনায় সার, কীটনাশক ও সেচ কম লাগে। রোগবালাই নাই বললেই চলে। ফলন বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, আমন মৌসুমে উপজেলায় অতিবৃষ্টিপাতে কৃষির ক্ষয়ক্ষতির পরেও আগাম জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপর্যয় কাটিয়ে নবান্নের আগেই কৃষক আগাম জাতের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে এটা স্বস্তির বিষয়। আগে কৃষক বছরে বোরো ও আমন এই দুইবারের বেশি ফসল ফলাতে পারতেন না। কিন্ত আগাম জাতের ধান চাষ করে কৃষক জমিতে ধানের পাশাপাশি সরিষা,আলু, সহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে লাভবান হচ্ছে। তাই এই জাতের ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিলেন নুরুল হুদা

সাতক্ষীরার বৈষম্যবিরোধী নেতা সুহাইলের পদত্যাগ 

নকল সরবরাহ করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা আটক

এইচএসসির তৃতীয় দিনে অনুপস্থিত ২৪৮৯১ জন 

ক্ষমতাকেন্দ্রিক নয়, সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি

ব্রিটিশদের নাকানিচুবানি দিতে ১০ বছর ধরে যে রণকৌশলে এগোচ্ছে ইরান

বাসযাত্রীর ব্যাগে মিলল বিপুল ইয়াবা, অতঃপর...

কুয়েট ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির জন্য ৬৮ অধ্যাপকের আবেদন

ইতিহাস গড়ল চট্টগ্রাম বন্দর, কনটেইনার পরিবহনে রেকর্ড

৭০০ টাকার ব্রডব্যান্ড ৫০০ টাকায় দেওয়ার নির্দেশনা আইএসপিএবির

১০

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে রূপসা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ 

১১

অসচ্ছল নারী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ঢাবি

১২

ক্ষোভের মুখে সরানো হলো বিএনপির অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এহসানকে

১৩

নগর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সরাসরি পরিচালনা করবে ডিএনসিসি

১৪

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদ, থানায় মামলা

১৫

কুষ্টিয়ায় কাফনের কাপড় জড়িয়ে বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও

১৬

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যে জুলকারনাইনের প্রতিক্রিয়া

১৭

দুই দশক পর কারামুক্তি, সঙ্গে লাখ টাকা সঞ্চয় দুই নারীর

১৮

এবার ইরাকের বিমানবন্দরে রকেট হামলা

১৯

মায়ের কোল ফিরে পেল ৬০ হাজারে বিক্রি হওয়া শিশুটি

২০
X